তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা গাইবান্ধা। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও সেই সঙ্গে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। এ অবস্থায় জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে একদিন পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় ছুটির এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুনুর রশিদ। তিনি জানান, তীব্র এই শীতের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনা রয়েছে ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার। সবদিক বিবেচনা করে আজকে জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সকালে গাইবান্ধার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি শীত মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে চলতি সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলের সব জেলার তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টা আগেও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শীতে জবুথবু ও অসহায় হয়ে পড়েছে মানুষ। হিমেল হাওয়ার কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত শহরে তেমন লোকজন চোখে পড়েনি। লোকজন প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ায় ও কাজ করতে না পারায় আয় কমেছে রিকশা, ভ্যানচালক ও দিনমজুরদের। সন্ধ্যার আগেই অনেকটা জনশূন্য হয়ে পড়ে জেলার রাস্তাঘাটগুলো। ইতোমধ্যে ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহর প্রভাব পড়ছে কৃষিতে। চলতি মৌসুমের ইরি-বোরোর বীজতলা লাল বর্ণ ধারণসহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নানা রোগ বালাইয়ের শিকার হচ্ছে আলু, সরিষাসহ রবি শস্য। শীত দীর্ঘায়িত হলে ফসলের আরও ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষিরা।