1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে হবে ॥ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী রাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রত্যাহার চাঁপাইনবাবগঞ্জে কারফিউ চলমান ॥ সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল শিক্ষার্থীদের জন্য ৮ বার্তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পূর্বের নিয়মেই কারফিউ বহাল নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আরও এক জঙ্গি গ্রেফতার-অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার নরসিংদীতে জেল পলাতক ৪৪৯ কয়েদির আত্মসমর্পণ সিলেটে সাংবাদিক তুরাব নিহতের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়-আমরা আদিবাসী’-নেত্রকোনায় আদীবাসী নেতৃবৃন্দ শুক্র ও শনিবার ঢাকাসহ ৪ জেলায় কারফিউ শিথিল ৯ ঘণ্টা

চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে হবে ॥ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৬৫ বার পঠিত

চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে হবে ॥ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী

সব জায়গায় চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলেন ‘সব জায়গায় চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এতে আপনাদের নজর দিতে হবে।’ শনিবার সকালে গণভবনে আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন তিনি। কৃষক যেন ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্য পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। কেউ যেন চাঁদাবাজি এবং মজুদদারি করতে না পারে সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে। মালামাল যেখানে রাখা হয় বা নামানো হয় সেখানে যেন কেউ চাঁদাবাজি করতে না পারে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। চাঁদাবাজি ও মজুতদারির জন্য যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে সেটি দেখতে হবে। কারণ, আপনারা জনপ্রতিনিধি, এই দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।
দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তার জন্য এবারের নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। ভোট কেন্দ্রে যাতে ভোটার আসে। নির্বাচন যেন উৎসবমুখর হয়, সেদিকে নজর রেখে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তিনি বলেন, যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের কাছে প্রশ্ন, কী কী কারণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি সেটা বলতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকেই নির্বাচন করেছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে মন কষাকষি আছে। দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এখন এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে আমরা সমাধান করবো। কিন্তু নিজেরা আত্মঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এবার নৌকার জোয়ার ছিল, এ জোয়ারেও জিততে না পেরে একে ওকে দোষারোপ করে লাভ নেই।’
নির্বাচন কমিশন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৮১টি সংস্কার প্রস্তাব কার্যকর করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাধীন করে দিয়েছি। ইসি যাতে নিরপেক্ষ কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ সাহস আওয়ামী লীগেরই আছে। যার কারণে এ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে, নির্বাচন হয়েছে ঠিক, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তাদের দেখাতে হবে কোথায় অবাধ সুষ্ঠু হয়নি? আমরা তো এতটুকু বলতে পারি, নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। সব বাহিনী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। অনেকে চেয়েছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হোক, তাতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে এবং স্যাংশনস দেওয়া যাবে। স্যাংশনস নিয়ে আমি বলেছিলাম, আমরাও স্যাংশনস দিতে পারি। না জেনে বলি না। আমি স্যাংশনের সব জানি বলেই বলেছি। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে এ দেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে ২১ বছর ক্ষমতা জনগণের হাতে ছিল না। ক্ষমতা বন্দী ছিল ক্যান্টনমেন্টে। জনগণের কোনো অধিকার ছিল না। আওয়ামী লীগ ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিল। বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে যাতে না আসতে পারে, বার বার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। জনগণ আমাদের শক্তি, তারা চেয়েছে বলে এসেছি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ আমাদের শক্তি। এ দলটির নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা এখানে। বার বার নির্বাচন নিয়ে চক্রান্ত হয়েছে। সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ তেও তারা চেষ্টা করেছে, নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ২০১৮ তে এসেও আবার পরাজয় জেনে সরে গেছে। নির্বাচন যেন না হয়, সে অপচেষ্টা করেছে। এবারও বানচাল করার চেষ্টা করেছে। এখনো লম্ফঝম্প করছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা বিষয় প্রমাণ হয়েছে যে একটা দেশের সরকার ধারাবাহিকভাবে থাকলে সে দেশের উন্নয়ন হয়। আমরা সেটা প্রমাণ করেছি। সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সভায় আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামীলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ অংশ নেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!