জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় হাত বিচ্ছিন্ন ও মাথায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে রাজশাহী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়াই এর ঘটনায় মামলা দায়েরের পর প্রভাবশালীদের হুমকীতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে একটি কৃষক পরিবার। জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে চাপ ও নারীদের উপর অত্যাচার ও হুমকী দেয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রকাশ্যে আসামীরা ঘুরলেও নৃশংস হামলার কোন প্রতিকার না পাওয়ার হতাশায় ভুক্তভোগী পরিবার। রবিবার বেলা ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলার আলাতুলী ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামের ভুক্তভোগি পরিবারটি। সংবাদ সম্মেলনে রানীনগর গ্রামের কাজিমুদ্দিনের ছেলে আনারুল ইসলাম বলেন, গত ১৭ মার্চ জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের হুমায়ন কবির, আইয়ুব আলী, আমিজুল আলী, বাহিন, হালিম, নাইমসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী তার ছোটভাই সাদিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার অপর ভাই কামরুল ইসলাম বাচ্চুর বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এঘটনায় তার ছোটভাই সাদিকুল ইসলামও আহত হলে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে আসামীদের মধ্যে কয়েকজন জামিন নিয়েছে এবং অন্যরা এখনও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে হুমকী-ধামকী দিচ্ছে। পরিবারের নারীদের উপরও রাস্তায় নির্যাতন চালাচ্ছে। বর্তমানে তাদের হুমকীতে ভুক্তভোগীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাচ্চুর মা সাহিনুর বেগম, চাচি সানুয়ারা, চাচা উসমান আলী ও ভাই সাদিকুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নিজেদের ৬৬ শতক জমি স্থানীয় হুমায়নের কাছে বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে শুনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিষয়টি ২০০২ সালে সমাধা হয় কিছু অর্থের বিনিময়ে। সেই থেকে জমি ভোগ করে আসছে ভূক্তভোগী পরিবার। আগে থেকেই ওই জমিতে বসবাস করে আসছিলো ওই পরিবার। বর্তমানে ওই জমিতে বাড়ি নির্মান শুরু করছে হুমায়নের নেতৃত্বে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। বাড়ি ঘরে ভাংচুর চালায়। হামলায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র পাসনি ও হাসুয়ার আঘাতে কামরুল ইসলাম বাচ্চুর হাত বিচ্ছিন্নসহ মাথায় ৩০টিরও বেশী সেলাই লাগে। বর্তমানে কামরুল ইসলাম বাচ্চু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। যে কোন সময় কামরুল ইসলাম বাচ্চু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার আশংকায় আতংকিত ভূক্তভোগী পরিবার বলে জানা গেছে সংবাদ সম্মেলনে।