1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
জেলা সদরের নামোশংবাটী স্কুল রাজশাহী বিভাগে শ্রেষ্ঠ - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নিহত ও আহত ছাত্র-জনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা- আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনের সাথে জড়িতদের বিচার করা হবে-হারুনুর রশীদ সীমান্তে হত্যা নিষ্ঠুরতা ॥ এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন–প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে অর্থ পাঠালো চাঁপাইনবাবগঞ্জ মার্কেট সমন্বয় কমিটি নাটোরে সাবেক ডিসি, এসপি ও এমপিসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন নওগাঁয় প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের গাছের চারা রোপন বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত ৩ ॥ আগত ১০ রামেবি’র নার্সিং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ॥ ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী অবাঞ্ছিত পোরশায় বিজিবি’র মতবিনিময় সভা নিয়ামতপুরে পারিবারিক জেরে বসতবাড়ী দখলের অভিযোগ ফেনীতে বন্যা পরবর্তী ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব

জেলা সদরের নামোশংবাটী স্কুল রাজশাহী বিভাগে শ্রেষ্ঠ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪
  • ৭৮ বার পঠিত

জেলা সদরের নামোশংবাটী স্কুল রাজশাহী বিভাগে শ্রেষ্ঠ

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এ বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোশংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয়। বিষয়টি সোমবার সকালে নিশ্চিত করে সকলের দোয়া চেয়েছেন নামোশংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসলাম কবির। প্রধান শিক্ষক মোঃ আসলাম কবির বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ভালো পরিবেশ ও শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে আসছে।

স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষকগণের আন্তরিকতায় প্রতিষ্ঠানটি সুনাম বয়ে এনেছে। এবছর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে আরও এগিয়ে নিতে স্থানীয় সুধিজন ও জেলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন নামোশংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসলাম কবির। কাশেশংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচিতি/ইতিহাস-জেলার নবাবগঞ্জ পৌরসভার নামোশংকরবাটী উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯২৭ ইং সালে স্থানীয় জনগন ও সুধীবৃন্দের সহযোগিতায় বাগান পাড়া গ্রামে জুনিয়র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

পরবর্তীকালে শিক্ষা নীতি পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে জুনিয়র মাদ্রসাটি ইং ১৯৬১ জুনিয়ার হাই স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। দেশ স্বাধীন হবার পর এলাকাবাসী ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে ও কল্যাণে শিক্ষানুরাগী সুহৃদয় ব্যক্তিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও সহযোগিতায় ইং ১৯৭৩ সালে উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। উল্লেখিত স্থানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শর্তানুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিমান জমির সংকুলান না হওয়ায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত স্থানে প্রাথমিক ৫ শতক জমি খরিদ করে বিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। পরে স্থানীয় জনসাধারনের সাহায্য তায় বিদ্যালয় সংলগ্ন আরও কিছু জমি পর্যায়ক্রমে খরিদ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের মোট পরিমান ১ একর ৭০ শতাংশ।
সালে অত্র বিদ্যালয় হতে ছাত্র-ছাত্রীরা সর্বপ্রথম এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আশানুরূপ অর্জন করে। প্রতি বছর বিদ্যালয়ে জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষায় ফলাফল সন্তোষজনক যা প্রবাদপ্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গৌরবের স্বাক্ষর বহন করে আসছে।

তাছাড়া জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করে আসছে। খেলাধুলার মানের দিক বিদ্যালয়টি জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সুখ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা ২৯ জন তাঁর মধ্যে খন্ডকালীন ১৪ জন এবং অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় জন। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যানুপাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষা উপকরন, আসবাবপত্র, শ্রেনি কক্ষের অভাব রয়েছে। গর্বের বিষয়, বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ উন্নয়ন পরিকল্পনা মোতাবেকক নিজস্ব তহবিল হতে প্রতিবছরই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমুলক কাজে উল্লেখযোগ্য পরিমান অর্থ ব্যয় করেন থাকেন। বিদ্যালয়ে শ্রেনিকক্ষ সহ অন্যান্য কক্ষের সংখ্যা ২৭টি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ১টি, শিক্ষক ১টি, কমন রুম ১টি, লাইব্রেরী ১টি, বিজ্ঞানাগার ১টি, কম্পিউটার ল্যাব ১টি, অডিটোরিয়াম কক্ষ ১৯টি। বিদ্যালয়ে রয়েছে ৩০০ আসনের একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম, স্বাস্থ্য সম্মত ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানিও জলের ব্যবস্থা, কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, খেলার মাঠ সর্বপরি আধুনিক মানের বিশাল লাইব্রেরী। যা ছাত্র-ছাত্রীদের কলরবে মুখরিত হয়ে থাকে। দর মধ্যে কেবল মাত্র ৬টি কক্ষ সরকারি অনুদানে নির্মিত। অবশিষ্ট ২৩টি কক্ষের নির্মাণ ব্যয় করে নিজস্ব তহবিল হতে মেটানো হয়েছে। সর্বোপরি কর্মরত শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীদের নিরলস ও অক্লান্ত সহৃদয়তা, দায়িত্ব ও কর্তব্যনিষ্ঠা এবং আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বিদ্যালয়টি গুণগত দিক দিয়ে জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে অন্যতম। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ১৯৯৩, ২০১৬, ২০১৮ সালে যথাক্রমে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুরস্কার লাভের গৌরব অর্জন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!