রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট চলাকালীন দুটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পানানগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-গোপালপুর গ্রামের আজের, আজাদ, শহিদুল, শুকচান, মিঠু, আব্দুর রাজ্জাক ও সান্টু এবং পানানগর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে শিহাব। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, নান্দিগ্রাম দারুস সালাম আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটারদের ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগে নবীর উদ্দিনকে (৪২) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খাইরুল ইসলাম নিশ্চিত করেন। ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শরিফুজ্জামান শরীফের সমর্থকেররা কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে, এতে বাঁধা দিতে গেলে আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালায় তারা। এতে ছয়জন সমর্থক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পাল্টা অভিযোগ করে মোটরসাইকেলের প্রার্থী শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন, ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে ঘোড়ার সমর্থকরা আমার সমর্থকদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়। এতে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় আমার তিন সমর্থককে পিটিয়ে জখম করে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, দুটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, সকাল থেকেই সবগুলো কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। দু-একটি কেন্দ্রে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।