ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের সোরা এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ রক্ষায় নির্মিত রিং বাঁধটি ভেঙে গেছে। তবে মূল বাঁধ এখনও রয়েছে অক্ষত। এ ছাড়া আশাশুনির ৭/১ পোল্ডারের সুভদ্রাকাটি ও চাকলা এলাকায় মাটি সরে যেতে দেখা গেছে। ৭/২ পোল্ডারের কামালকাটি ও বন্যতলায় বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাহ উদ্দিন জানান, তারা এক সপ্তাহ ধরে লিকেজ বাঁধগুলো মেরামতে কাজ করছেন। ছয় ফুটের উপর পানি বেড়েছে, যা অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, তারাও বাঁধ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। মূল বাঁধগুলো টিকিয়ে রাখতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতাপনগরের এক মুদি দোকানি বলেন, বাঁধের অবস্থা নাজুক। কপোতাক্ষের পানি বেড়েছে ব্যাপক। উপকূলবাসীকে নিরাপদ রাখতে কারো কোনো মাথাব্যাথা নেই। বারবার প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও যে পরিমাণ ব্যয় করা হয় তাতে এ এলাকায় অনেক উন্নত অবকাঠামো করা সম্ভব। গাবুরা ইউনিয়নের পাশ্বেমারী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার বহুদিক থেকে পানি ঢুকেছে। মানুষের অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে।