1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ মদের ভাটি ॥ নিয়মনীতির তোয়াক্কা নেই ॥ যত্রতত্র মদ বিক্রি - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী রাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রত্যাহার চাঁপাইনবাবগঞ্জে কারফিউ চলমান ॥ সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল শিক্ষার্থীদের জন্য ৮ বার্তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পূর্বের নিয়মেই কারফিউ বহাল নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আরও এক জঙ্গি গ্রেফতার-অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার নরসিংদীতে জেল পলাতক ৪৪৯ কয়েদির আত্মসমর্পণ সিলেটে সাংবাদিক তুরাব নিহতের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়-আমরা আদিবাসী’-নেত্রকোনায় আদীবাসী নেতৃবৃন্দ শুক্র ও শনিবার ঢাকাসহ ৪ জেলায় কারফিউ শিথিল ৯ ঘণ্টা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ মদের ভাটি ॥ নিয়মনীতির তোয়াক্কা নেই ॥ যত্রতত্র মদ বিক্রি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪
  • ১০৩৫ বার পঠিত

ধ্বংস যুব সমাজ ও শ্রমিকরা ॥ দেখার যেন কেউ নেই

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ মদের ভাটি ॥ নিয়মনীতির তোয়াক্কা নেই ॥ যত্রতত্র মদ বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবাধে চলছে বাসাবাড়িতে অবৈধ মদের ভাটিতে যত্রতত্র মদ বিক্রি। নেই কোন নিয়মনীতির বালায়। নামকাওয়াস্তে অন্যের মদের লাইসেন্স নিজের নামে পরিবর্তন করে চালিয়ে যাচ্ছেন মদের ব্যবসা। লাইসেন্সের নিয়ম মোতাবেক শুধুমাত্র জেলার তালিকাভূক্ত মদ সেবনকারীদের কাছে মদ বিক্রি এবং রেজিষ্টারে তালিকাভূক্ত করে মদ সেবনকারীদের মাঝে মদ বিক্রির নীতিমালা থাকলেও সেই নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মদের ব্যবসা জেলার মদ ব্যবসায়ী মনোতষ কুমার চক্রবতী। তালিকাভূক্ত মদ সেবনকারীদের চাহিদা মতো মদ নিয়ে আসা এবং বিক্রি করার কথা থাকলেও সেটাও মানছেন না এই মদ ব্যবসায়ী মনোতষ কুমার চক্রবতী। একদিনে বা মাসে যে পরিমান বরাদ্দ পাওয়া বা নিয়ে আসার কথা, সেটার চেয়ে অনেক গুন বেশী দেশীয় মদ বিক্রি করছেন প্রতিদিনই। ফলে যুব সমাজ ও শ্রমিকদের জীবন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ে নিজের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন এই মদ ব্যবসায়ী।

জেলা সদরের কাছাকাছি হওয়ায় খুব সহজেই হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছে দেশীয় মদ উঠতি বয়সের যুবকরা। ব্যবসা এলাকায় এই মদের ভাটি হওয়ায় শ্রমিকরা (চালক ও হেলপার)সহ দেদারসে সেখানে গিয়ে মদ সেবন করছেন। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকার অটো রাইস মিল মালিকরা। এই মদের ভাটিতে দীর্ঘদিন মদ খেয়ে নবাব অটো রাইস মিলের একজন কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গেছে। জেলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জেলায় মাদককে ‘জিরো ট্রলারেন্স’ শুণ্যের কোঠায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি বা কাজ করলেও এভাবে জেলা সদরের পাশে পৌরসভা সীমানার কাছাকাছি এলাকায় দিন রাত মদ বিক্রি করলেও কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না। এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে ওই এলাকার অটো রাইস মিল মালিক, সাধারণ মানুষ ও সচেতন মহলের মাঝে। এভাবে শিল্পাঞ্চল এলাকায় বাসাবাড়িতে মদের ভাটিতে মদ বিক্রি বন্ধে জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর আবেদন করা হলেও কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় আতংকিত ও হতাশাগ্রস্থ মিল মালিকরা। এদিকে, ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি দিয়ে বাসাবাড়িতে চালাচ্ছেন দেশীয় মদের বানিজ্য।

সরজমিন তথ্যে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহার বুলনপুর এলাকায় প্রায় ১৯ বছর থেকে যত্রতত্র পরিবেশে দেশীয় মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলার মদ ব্যবসায়ী মনোতষ কুমার চক্রবতী। জামতাড়া, আতাহার, নয়ানগর ও বুলনপুর এলাকা নিয়ে শিল্প ও বানিজ্য এলাকা হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিক যাতায়াত করে থাকে এবং মকসুদুল হক ইন্সটিটিউটির ছাত্র ছাত্রীদেরও যাতায়াত এর রাস্তা এটি। সরকার এবং প্রশাসন মাদক নির্মূলের চেষ্টায় আছে, কিন্তু কোন ভাবেই যত্রতত্র পরিবেশে রোধ হচ্ছে না এই মদের কারবার। দেশীয় মদ খুচরা বিক্রয়ের অনুমতিপত্র অনুযায়ী মদ ব্যবসায়ী মনোতষ কুমার চক্রবর্তীর নিজের নামের সনদ নেই। নতুন করে কোন মদের লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ না দেয়ায় কৌশলে নাম পরিবর্তন করে চালিয়ে যাচ্ছেন এই মদের ব্যবসা। যে সনদে তিনি ব্যবসা করেন সেটি অন্য জনের লাইসেন্স। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সূত্রে জানা গেছে, মনোতষ কুমার চক্রবতীর নামে কোন খাজনা খারিজের হোল্ডিং চালু নাই। তিনি যে জমির উপর দেশীয় মদের ব্যবসা করছেন, সে জমির রেকর্ডীয় প্রজার নাম তাইজুদ্দীন মন্ডল। জমির শ্রেণী ডাঙ্গা ও পুকুর। কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ভূমি আইন অমান্য করে মনোতষ কুমার চক্রবতী শ্রেণী পুকুর ভরাট করে বর্তমানে ডাঙ্গা করেছেন। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে মাত্র ৪ কি:মি: দূরুত্বে বুলনপুর, আতাহার, আমনুরা রোড সংলগ্ন বুলনপুর নামক স্থানে জায়গা কিনে মনতোষ কুমার চক্রবর্তী বসবাসের জন্য বাড়ি তৈরী করে উক্ত বড়িতে বসবাস না করে অবৈধভাবে মদের ভাটি পরিচালনা করে আসছেন। ইতোপূর্বের চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাদকদ্রব্য বিক্রেতা ১। মোঃ ফিরোজ ও ২। আলী আকবর (যাহাদের লাইসেন্স নম্বর-০১/৮৬-৮৭) চাঁঃ নবাবগঞ্জ রেলষ্টেশন চন্ডিতলা আমবাগানে মদেরভাটি পরিচালনা করতেন। বর্তমানে মনতোষ কুমার চক্রবর্তী, পিতা-নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, গ্রাম-রহনপুর (পুরাতন বাজার), উপজেলা-গোমস্তাপুর, জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ উক্ত লাইসেন্স এর ক্রেতা সেজে বুলনপুর (আতাহার) নামক স্থানে উন্মুক্তভাবে মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে বুলনপুর এলাকাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অর্থনৈতিক প্রাণ কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত। এই এলাকাতে অনুমানিক ৫০টির বেশি ছোট বড় অটো রাইস মিল গড়ে উঠেছে এবং এই শিল্প অঞ্চল হতে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে চাউল সরবরাহ করা হয়। এর ফলে এখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলশ্রুতিতে এই এলাকায় অনেক আবাসস্থল গড়ে উঠেছে। এ এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে শত শত কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী এবং হাজরো নারী-পুরুষ শ্রমিক, কর্মচারী এবং সাধারণ জনগন। দিনের বেলায় ও মদ্যপায়ীরা মদপান করে প্রকাশ্যে মাতলামির কারনে এলাকার সামাজিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। স্কুল গামী শিক্ষার্থীরা ইভটিজিং এর ভয়ে আতংকিতও। তবে ইতোপূর্বে ইভটিজিং এর মতো ঘটনাও ঘটেছে বলেও জানিয়েছে এলাকাবাসী।
ইতিপূর্বে স্থানীয় জনসাধারন, বিভিন্ন মিলের শ্রমিক ও কর্মচারীগণ মদের ভাটি বন্ধ অথবা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর আবেদন করেছিলেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরও সংশ্লিষ্ট মদ ব্যবসায়ী সেখান থেকে মদের ভাটি বন্ধ/অন্যত্র সরিয়ে নেননি বরং বীরদর্পে আরও বিস্তৃতি করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় গত-০৪ এপ্রিল/২০০৫ইং তারিখে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। সাধারণ ডায়েরি নং-১৯৫। উক্ত সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে শ্রী মনতোষ কুমার চক্রবর্তী তৎকালীন নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট লিখিত স্বীকারোক্তি প্রদান করেন যে, নতুন ভাবে ক্রয়কৃত জায়গায় মদের ভাটি সম্প্রসারণ করছেন না। জিডিতে মনতোষ সেখানে কোন মদের ব্যবসা বা দোকান চালানো হয় না এবং ভবিষ্যতে কোন বেআইনী কাজ তাঁর দ্বারা হবে না বলে অঙ্গীকার করেন। তাহার ক্রয়কৃত জমিতে বসবাসের জন্য বাড়ি তৈরি করছেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেও তিনি উক্ত বাড়ীটিতে বসবাস না করে মদের ভাটি হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন। এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ/২০২৪ ইং তারিখে আবারও জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর অবৈধ মদের ভাটি উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছে। তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন, কোন ক্ষমতাবলে বা কোন অজ্ঞাত শক্তির কারণে এভাবে বছরের পর বছর পরিবেশ নষ্ট করে মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে? এই মদ ব্যবসায়ীর খুটির জোর কোথায়?
এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিল্পাঞ্চল বুলনপুর-আতাহার এলাকা থেকে অবৈধ মদের ভাটি অপসারণের দাবি করেছেন এলাকাবাসী ও শিল্পাঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে বুলনপুর নামক এলাকায় জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পুরাতন বাজারের মনতোষ কুমার চক্রবর্তী মুদি দোকান করার জন্য জেলা পরিষদ থেকে ৮/১০ ফুটের একটি ঘর লিজ নেয়। কিন্তু সে মুদির দোকান না করে সেখানে অবৈধভাবে মদের ভাটি তৈরি করে এবং মাদক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। মদের ব্যবসা ও সেবনকারীদের সহায়তা করায় এলাকার শিল্প কল কারখানার মালিকের পড়তে হয় বেকায়দায়। ফলে আতাহার এলাকার পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আর মাদক সেবীদের মাতলামীর কারণে এলাকায় গড়ে উঠা আবাসিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, পথচারী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা চরম আতংকগ্রস্থ ও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। এলাকাবাসী বলেন, জেলা পরিষদের দেয়া লিজকৃত অস্থায়ী দোকান ঘর জেলা পরিষদের জেঃ পঃ/নবাব/সাধাঃ/২০০৫/১১২ নম্বর স্মরকে ২০০৫ সালের ২০ মার্চ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরে লীজটি বাতিল করা হয় এবং এই চিঠিতে মদের ভাটি দ্রুত অপসারণ করতে বলা হয়। পরবর্তীতে সে মদের ভাটি পার্শ্ববর্তী স্থানে কয়েক শতক জমি কিনে বাড়ি নির্মান করে। সেখানে অবাধে অবৈধভাবে মদের ব্যবসা করতে থাকে এবং ওই স্থানে আরও স্থায়ীভাবে ব্যবসার পসার গড়ে তোলে। সেখানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরসহ জেলার বিভিন্নস্থানের মাদক সেবীরা মাদক সেবন করতে আসে এবং অবাধে মনোরঞ্জন করে যায়। কিন্তু এভাবে সে অদ্যবধি মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে শিল্পাঞ্চল এলাকার পরিবেশ দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে জেলার মদ ব্যবসায়ী মনোতষ কুমার চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লাইসেন্স নিয়ে আমি ব্যবসা করছি। সেখানে আমার কোন বাসা বাড়ি নেই, একটি দোকানে ব্যবসা করি। নিয়মনীতি না মেনে যততত্র মদ বিক্রি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে সম্প্রতি সেখান থেকে মদের ভাটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে বলেও জানান তিনি। কিন্তু কবে নাগাদ সরিয়ে নিবেন বা অবৈধভাবে চালানো ব্যবসা বন্ধ বিষয়েও কোন সদুত্তোর দেন নি তিনি।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিন্টু রহমান বলেন, লাইসেন্স নিয়ে যেহেতু দেশী মদ বিক্রি করছেন জেলার মদ ব্যবসায়ী মনোতষ কুমার চক্রবর্তী। সেহেতু লাইসেন্সের নিয়ম ভঙ্গ করলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিষয়টি দেখবে। তবে, লাইসেন্সের নামে যত্রতত্র মদ বিক্রি করে পরিবেশ বা সমাজের ক্ষতি করছে অব্যশ্যই বিষয়টি দেখবে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, তালিকাভূক্ত মদ সেবনকারী ছাড়া পরিবেশ নষ্ট করে যুবক বা শ্রমিকদের মাঝে দেশী মদ বিক্রি করলে বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে লাইসেন্স বাতিলের জন্য উদ্যোগ নেয়া দরকার।
এব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আনিছুর রহমান খান বলেন, আতাহার বুলনপুর এলাকা থেকে মদের ভাটি সরিয়ে নেয়ার জন্য জেলার মদ ব্যবসায়ী মনোতষ কুমার চক্রবর্তীকে চিঠি দেয়া হয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, লাইসেন্সের নিয়মের বাইরে কোন কিছু করলে, উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষতে জানিয়ে সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলাকার বাণিজ্যিক ও সামাজিক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকা থেকে মদের ভাটি সমূলে অপসারণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা ও সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!