1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী রাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রত্যাহার চাঁপাইনবাবগঞ্জে কারফিউ চলমান ॥ সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল শিক্ষার্থীদের জন্য ৮ বার্তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পূর্বের নিয়মেই কারফিউ বহাল নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো আরও এক জঙ্গি গ্রেফতার-অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার নরসিংদীতে জেল পলাতক ৪৪৯ কয়েদির আত্মসমর্পণ সিলেটে সাংবাদিক তুরাব নিহতের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়-আমরা আদিবাসী’-নেত্রকোনায় আদীবাসী নেতৃবৃন্দ শুক্র ও শনিবার ঢাকাসহ ৪ জেলায় কারফিউ শিথিল ৯ ঘণ্টা

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
  • ৪২ বার পঠিত

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে যে পরিপত্র জারি করা হয়েছিলো, তা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকলো। বুধবার (৫ জুন) হাই কোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। শুনানি শেষে আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র অবৈধ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) সাইফুজ্জামান জামান। এর আগে, নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করা হয়। ওই পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসির) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সাতদিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। ২০২৩ সালের সোমবার (৬ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। বিদ্যমান নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা রয়েছে ১০ শতাংশ। ওই কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর এ পরিপত্র জারি করা হয়। রিটকারীরা জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কোটা নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেড (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) বাতিল করে (তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি) ১৪ থেকে ২০তম গ্রেডে রাখা হয়েছে। যা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে হেয়প্রতিপন্ন করার শামিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা থেকে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং দশম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে কোটা বাতিলের পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখে সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!