চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে আলালপুর দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার নতুন-পুরাতন বই বিক্রি সহ নানান অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুপারিন্টেন্ডেন্ট (সুপার) মোঃ বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ২০২৩ সালের প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে থেকে সংগৃহীত পুরাতন বই এবং অবশিষ্ট নতুন বই বিক্রি করেন প্রায় ৬৫ হাজার টাকার। যা পুরোটাই চলে যায় সুপার বজলুর রহমানের পকেটে! নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ২০২৩ সালে নিয়মিত কমিটি না থাকার অজুহাতে ২০২৪-২০২৫ সালের জন্য অগ্রীম বিক্রি করা হয়েছে মাদ্রাসার সীমানার মধ্যকার আম গাছগুলোর আমফল। যার পুরোপুরি অর্থ পকেটস্থ করেছেন সুপার নিজেই। এমনকি মাদ্রাসার নামীয় আবাদি জমিগুলোও রেহাই পায়নি তার খপ্পর থেকে। প্রকাশ্যে নিলামে না দিয়ে রাতের অন্ধকারে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অত্র মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিংয়ের নামে কর্তন কৃত টাকা এবং সহকারী শিক্ষকদের টিউশন ফি’র টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ আছে সুপারের বিরুদ্ধে। গভর্নিং বডির সভাপতি সহ দাতা সদস্য করার আশ্বাসে বিভিন্ন সময় নতুন নতুন করে দাতা সদস্য সৃষ্টির নামে অনেকের কাছ থেকে ডোনেশন নেওয়ার অভিযোগও আছে এই সুপারের বিরুদ্ধে। পুরাতন ভবন সংস্কারের নামে বরাদ্দকৃত টাকা থেকে কাজের মান নিম্নমান করার বদৌলতে নিয়োগ কৃত ঠিকাদারকে ম্যানেজ করে ৩৫ হাজার টাকা তার পকেটে গেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক কর্মচারীরা অভিযোগ করেন। এমন দুর্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নিমিত্তে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান এলাকাবাসী। উপরিউক্ত অভিযোগের বিষয়ে আলালপুর দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ বজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সময় হলে জানতে পারবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন। সবকিছু তার গভর্নিং বডির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত আছে কিনা এবং অর্জিত টাকাগুলো প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টে জমা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি সময় হলে জানা যাবে এমন বলে এখন এবিষয়ে কিছু বলবেননা বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিদা আক্তারের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এবিষয়ে ভোলাহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অঃ দাঃ) মোঃ আব্দুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।