নাটোরের নলডাঙ্গা ও গুরুদাসপুরে গৃহবধুসহ বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ৭ জুন নলডাঙ্গা উপজেলার বারনই নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মোঃ কামরুল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন মোঃ মজনু (৪০) নামে অপর একজন। নিহত কামরুল হোসেন উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে। আহত মজনু একই গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে। ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম আশরাফুজ্জামান মিঠু এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার দুপুর দেড়টার সময় মজনু ও কামরুল হোসেন কোমরপুর গ্রামের গোরস্থান সংলগ্ন বারনই নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই কামরুলের মৃত্যু হয় আর আহত হন মজনু। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে কামরুলের মরদেহ এবং আহত মজনুকে উদ্ধার করেন। মজনু বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক জানান, বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এদিকে, জেলার গুরুদাসপুর পৌর এলাকায় বজ্রপাতে আবেরা বগেম (৪০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।
দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত আবেরা বেগম দুই সন্তানের জননী ও গুরুদাসপুর পৌরশহরের আনন্দ নগর মহল্লার সাদ্দাদ হোসেনের স্ত্রী। নিহতের স্বজন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজলুর রহমান ফজল বলেন, দুপুর ২টার দিকে আকাশে মেঘ দেখে নিহত আবেরা বেগম বাড়ির পাশে ডোবা থেকে হাঁস ফিরিয়ে আনতে যান। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে তিনি একটি আম গাছের নিচে আশ্রয় নেন। কিন্তু তার পাশে বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে তিনি সেখানেই লুটিয়ে পড়েন। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।