লক্ষ্মীপুরে এক সৌদি প্রবাসীর ঘর থেকে তার স্ত্রীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতদল ডাকাতি করতে এসে হত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের। এসময় ডাকাতরা বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। নিহত নাজমুন নাহার (৫০) ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী মো. নুরুজ্জামানের স্ত্রী। প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানায়, নুরুজ্জামান ও নাহারের দুই মেয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকে। বাসায় নাহার একাই থাকতেন। সোমবার রাতের কোনো এক সময় বাসার পাশের আমড়া গাছ দিয়ে উঠে ভেন্টিলেটর ভেঙে ডাকাতরা ঘরে ঢোকে। পরে নাহারকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এক পর্যায়ে ডাকাতদল বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়। তবে ডাকাতরা কি পরিমাণ জিনিসপত্র নিয়ে গেছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি কেউ। নাহারের মেয়ে জামাই দুবাই প্রবাসী মো. নজীর বলেন, ডাকাতরা ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে শাশুড়িকে হত্যা করেছে। তারা বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মিয়ারবেড়ী এলাকায় নুরু মাস্টার বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সোহেল রানা বলেন, ভোরে প্রতিবেশিরা নাহারের বাসার দরজা খোলা দেখে ভেতরে ঢুকে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা নাহারের দুই মেয়েসহ স্বজনদের খবর দেয়। স্বজনদের দাবি, ডাকাতি করতে ঢুকে নাহারকে হত্যার পর বাসায় থাকা স্বর্ণালংকার, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।