কোটা আন্দোলনে কিছুটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, যারা ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের ১৭ সদস্যকে হত্যা করেছে, সেই প্রেতাত্মা আজকে যে কিছুটা হলেও এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে লিপ্ত না সেটা তো আমি অস্বীকার করতে পারব না। সেটা আপনারাও বুঝতেছেন, আমরাও বুঝতেছি। শুক্রবার (১২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস নতুন প্রজন্মের যারা ছাত্র-ছাত্রীরা, যারা এই কোটার ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পেশ করেছে এবং সর্বোচ্চ আদালত যেই আদেশ দিয়েছেন, সেই আদেশ তারা মেনে অবশ্যই ঘরে ফিরে যাবে। আর আরও বড় কথা হচ্ছে, আমি বিশ্বাস করি, তারা জনগণের অসুবিধা হোক, জনগণ দুঃখ-কষ্ট ভোগ করুক সেগুলো পরিহার করবে। আমার মনে হয় তারা ঘরে ফিরে যাবে। তিনি বলেন, আমার কথা হচ্ছে, সরকারের দায়িত্ব জনগণের জানমাল রক্ষা করা। সরকারের দায়িত্ব, জনগণের সুবিধা-অসুবিধা দেখা। সেটা যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করে সরকারকে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে গ্রেপ্তার সৈয়দ আবেদ আলী প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেন নি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন ভুঁইয়াসহ অন্যরা।