চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে গরু ছাগলের হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাপ্তাহিক হাট সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যারা গরু কিংবা ছাগল ক্রয় করছেন হাটের ইজারাদারের পক্ষ থেকে তাদের নিকট অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। সরকার কর্তৃক গরু প্রতি খাজনা ৫’শ টাকা ও ছাগল প্রতি ২৫০টাকা নির্ধারিত থাকলেও প্রকারভেদে গরু প্রতি ৬০০-৬৫০ টাকা আর ছাগল প্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। রহনপুর হাটে ছাগল কিনতে আসা রফিক উদ্দিন জানান, কুরবানী উপলক্ষে আমি একটি ছাগল ক্রয় করি। তার জন্য আমাকে খাজনা গুনতে হয়েছে ৩৫০ টাকা। খাজনার রশিদ দিলেও তাতে কোন টাকার উল্লেখ নেই। বেশী কেনো নিচ্ছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তাদের কাছে সদুত্তর পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত খাজনা পরিষোধ করতে বাধ্য হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হাটে কোরবানী পশু ক্রয় করতে আসা ক্রেতাগণ। রহনপুর হাটে কুরবানির জন্য গরু কিনেছেন উপজেলার নয়াদিয়াড়ী গ্রামের সালাউদ্দিন। তিনি ৬’শ টাকা খাজনা দিয়েছেন। অথচ খাজনা রশিদে টাকার উল্লেখ নেই। তিনি বলেন, খাজনা বেশী নেয়া হচ্ছে। এবিষয়ে হাটের ইজারাদার আব্দুল লতিফ বলেন, বেশী দাম দিয়ে হাট ক্রয় করেছি। এজন্য লোকসান গুনতে হয় আমাদের। তাই কুরবানির সময় একটু অতিরিক্ত খাজনা আদায় করি। খাজনার রশিদে টাকার উল্লেখ করেন না কেনো ? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা করা যায় না। অতিরিক্ত খাজনা আদায় বিষয়ে রহনপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র প্যানেল মেয়র-১ জাহানার পারভিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি, পৌর পরিষদে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা খাতুন বলেন, হাটের ইজারাদার কখনো অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতে পারবেন না। তাছাড়া খাজনা রশিদে অবশ্যই টাকার উল্লেখ থাকতে হবে। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।