রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কাইয়ুম মিয়া বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় এই মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন ওসি শেখ মো. মোবারক পারভেজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আবাসিক হলসহ বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কক্ষ ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ সর্বমোট ২৭টি মোটরসাইকেল যার আনুমানিক মূল্য ৬৪ লাখ টাকা ও ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল এবং দুইটি ল্যাপটপ-যার মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার, অর্থনীতি বিভাগের তোফায়েল আহমেদ তপু, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা, আরবি বিভাগের মাহাদী হাসান মাহির, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের মাহাদী হাসান মারুফ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী সজিব, দর্শন বিভাগের আশিকুর রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শাহ পরান, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের দেওয়ান বাঁধন ও সিরামিকস বিভাগের তানভীর আহম্মেদ রিদম। এছাড়াও অর্থনীতি বিভাগের মনিমুল হক, লোকপ্রশাসন বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মেহেদি, অর্থনীতি বিভাগের আল মুহি ফেরদৌস, রসায়ন বিভাগের শাহরিয়ার পলাশ, ফার্মেসি বিভাগের মো. আনারুলকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী ছাড়া মামলার আসামি করা হয়েছে নগরীর মির্জাপুর এলাকার মো. নাঈম ও মো. হাসিবুল, বুধপাড়ার মো. হাবিবুর রহমান ও মো. আশিকুর রহমান তুহিন এবং কাজলার শাহরিয়ার আহমেদসহ অজ্ঞাত আরও অনেককে। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকালে লাঠি হাতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণের পর কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার কক্ষে ভাঙচুর চালায়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হল, মাদার বখস্ হল, জিয়া হল, মতিহার হল ও শাহ মখদুম হলের অন্তত ২০টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে কক্ষগুলোতে থাকা জিনিসপত্র বাইরে বের করে এনে পুড়িয়ে দিতে দেখা যায়। অগ্নিসংযোগ করা হয় বেশ কিছু মোটরসাইকেলেও। এছাড়া ছাত্রলীগের হলের কক্ষগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেয় আন্দোলনকারীরা।
