1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
স্বামী ৪৩-স্ত্রী ৩৩ ॥ একসাথে এইচএসসি পাস - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন-জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদী থেকে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার আমরা সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভাঙার জন্য কাজ করে যাচ্ছি : আসিফ নাচোলে বিদেশ ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ শীর্ষক কর্মশালা স্বামীর খোঁজে নাটোর এসে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু পোরশায় বিএনপি’র সভাপতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা নাচোলে শিশুকন্যা ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ আটক। গোমস্তাপুরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ইউএনওর মতবিনিময় গোমস্তাপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

স্বামী ৪৩-স্ত্রী ৩৩ ॥ একসাথে এইচএসসি পাস

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪০ বার পঠিত

স্বামী ৪৩-স্ত্রী ৩৩ ॥ একসাথে এইচএসসি পাস

কিশোরগঞ্জে কুলিয়ারচর উপজেলার বাসিন্দা মো. বদিউল আলম (নাঈম) এর বয়স ৪৩ বছর এবং শারমীন আক্তার এর বয়স ৩৩ বছর, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ঢাকার অধীনে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ঘোষিত ফলাফলে কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এই দম্পতির মধ্যে স্বামী নাঈম পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ২৯ এবং স্ত্রী শারমীন পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ৫। শিক্ষার কোনো বয়স নেই, ইচ্ছা আর আগ্রহ থাকলে যে অনেক কিছুই করা সম্ভব তাই যেন প্রমাণ করলেন বিয়ের ১৬ বছর পর একসঙ্গে এইচএসসি পাস করা নাঈম-শারমীন দম্পতি। পেশায় ঠিকাদার নাঈম কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের দ্বাড়িয়াকান্দি গ্রামের মো. কনু মিয়া ও মোছাম্মাৎ সাজেদা দম্পতির ছেলে। ১৯৯৭ সালে তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি তখন। অপরদিকে, গৃহিনী শারমীন আক্তার কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার মঙ্গলকান্দি গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেন ও মায়া বেগম দম্পতির মেয়ে। নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বিয়ে হয় তার। ২০১০ সালে তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও সন্তান গর্ভে আসায় আর পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরে আর লেখাপড়া করার সুযোগ হয়নি। ২০০৮ সালে বিয়ে হওয়া এ দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। তাদের বড় মেয়ে বুশরা আক্তার বীথি স্থানীয় ছয়সূতী ইউনিয়ন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও মেজো ছেলে রেদোয়ান আলম সিয়াম একই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। সবার ছোট মেয়ে তাসনীম (৫) এখনো স্কুলে ভর্তি হয়নি। এ দম্পতি জানান, ২০২০ সালে বড় মেয়ে বীথি ও তৎকালীন কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লুনার উৎসাহে নতুন করে পড়াশোনা করার আগ্রহ জাগে তাদের। ওই বছর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তারা দুজন বিন্নাবাইদ দারুল উলুম দাখিল মাদরাসায় ভর্তি হন। পরে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় নাঈম জিপিএ ৪ দশমিক ৯৫ এবং স্ত্রী শারমীন জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। বদিউল আলম (নাঈম) বলেন, বিয়ের আগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারলেও কয়েকবার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ব্যবসা ও সাংসারিক চাপে শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। শারমীন আক্তার বলেন, মনের জোর এবং স্বজনদের উৎসাহে পড়াশোনা করে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরে তারা নিজেরা আনন্দিত হওয়াসহ তাদের পরিবারে যেমন আনন্দের বন্যা বইছে, তেমনি এলাকার লোকজনও খুশি হয়ে তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছে বলে জানালেন এই দম্পতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!