নাটোর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এবং নলডাঙ্গা উপজেলার বহিস্কৃত আওয়ামীলীগ নেতা রইস উদ্দীন রুবেলের মাদক সেবনের ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দুই মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ফেন্সিডিল সেবনের ভিডিওটি সোমবার দুপুর থেকে ফেসবুকে প্রকাশের পর সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। এ নিয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে নিন্দা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ‘আমি মাতাল’ নামের ফেসবুকের পেইজে ফেন্সিডিল সেবনের ভিডিওটি দেখা যায়। এক মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। স্ট্যাটাসে সেখানে লেখা রয়েছে, রইস উদ্দীন রুবেল, এই যদি হয় নেতার চরিত্র! অবিলম্বে মাদক সেবন কারী নেতাদের হাত থেকে নলডাঙ্গা উপজেলা মুক্ত করা হোক এবং তাদের গডফাদারদের চিহ্নিত করা হোক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ছাউনীর নিচে বহিস্কৃত আওয়ামীলীগ নেতা রইস উদ্দীন রুবেল এবং মহসিন আলী বসে আছেন। তাদের সামনে ফেন্সিডিলের দুটি বোতল। ছাউনীর উপরে লেখা আছে “সব কিছুতে সাবধান”। এরপর একটি ফেন্সিডিলের বোতল রইস উদ্দীন রুবেল সেবন করে আওয়ামীলীগ নেতা মহসিন আলীর হাতে দিলে তাকেই সেটা সেবন করতে দেখা যায়। সেটি শেষ করে সিগারেট ফুকতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিজের নিশ্চিত করে রইস উদ্দীন রুবেল বলেন,আমি কোন প্রকার মাদক সেবন করিনা। সেদিন বন্ধুদের পাল্লায় পরে একটু চেখে ছিলাম। আর সেটাই নিজেদের একজন লোক তুলে রেখেছিল। সেটাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে কেউ এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে ভিডিও কোথায় কবে কখন ধারণা করা সেটা তিনি বলতে রাজি হননি। এই বিষয়ে নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ স¤পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, রইস উদ্দীন রুবেল বিডিআর বিদ্রোহের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে হত্যাকারীদের আওয়ামীলীগ করার কোন সুযোগ নেই। নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল তাকে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বানিয়েছিল। দলের সভানেত্রী জানার পর তাকে বহিস্কার করেছে। তিনি আওয়ামীলীগের সাধারণ সদস্যও নয়। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার তার কোন সুযোগ নেই। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা ভিডিওটি তিনি দেখেননি বা শুনেননি। মাদকসহ কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলে কারোও উপর আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারি না। তার পরেও আমি খোঁজ খবর রাখছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।