জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উমরপুর মৌজা থেকে উমরপুর ঘাট পর্যন্ত ১ হাজার ৪৫০ মিটার সড়ক সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। সড়ক থেকে পার্শ্ববর্তী দুদিক উঁচু হওয়ায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে তৈরী হওয়া গর্তে জমে থাকে পানি। যানবাহন চলে চরম ঝুঁকি নিয়ে। তার ওপর গর্তে জমে থাকে বৃষ্টির পানি। ভারী বর্ষণের কারণে এসব গর্তে পড়ে প্রায় সময় আটকে যাচ্ছে যানবাহন। রাস্তা দিয়ে হাঁটাও দায় হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানায়, শ্যামপুর ইউনিয়নের এ সড়কটি প্রায় দশ বছর আগে পাকা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়া ও দুইধার উঁচু হওয়ায় এমন বেহাল দশা বছরের পর বছর থেকেই যাচ্ছে। কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও নোংরা কাদায় হাঁটাচলার চরম দূর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা। একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। শিক্ষার্থীদের এ জলাবদ্ধতা পার হয়ে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যেতে প্রতিদিন চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। স্থানীয় এক মুদি দোকানদার বলেন, বৃষ্টি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে থাকে। গাড়ি চলাচলের সময় গর্তে জমে থাকা পানিগুলো তাদের দোকানে ছিটকে পড়ে। দোকানের আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় আমার দোকানে কোনো ক্রেতা আসতে পারেনা। অনেক কষ্টের মধ্যে আমাদের দোকান করতে হয়। শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন বলেন, দশ বছর পূর্বে সড়কটি কার্পেটিং করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বর্ষার শুরু হওয়ার সাথে সাথে গর্তে পরিণত হয়। চরম ভোগান্তির মাধ্যমে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারের জোর দাবি জানান তিনি। উমরপুর সড়কের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, সড়কটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, সড়কটির সার্বিক অবস্থার উপর একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত এ সড়কের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে।