মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন। জেলার প্রধান প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ মোড় জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন রংয়ের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে এবং সরকারী ও আধাসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারী ভবন ও স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়। সকল সরকারী ও আধাসরকারী, বেসরকারী, স্বায়িত্ব শাসিত এবং ব্যক্তি মালিকানাধিন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কালেক্টরেট চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। এদিন সুর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা স্টেডিয়ামে (পুরাতন) ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসুচীর সুচনা হবে। বীর শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাবেন মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্র্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। সকাল পৌনে ৭টায় হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুর্ব-দক্ষিন কোনে অবস্থিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় ডাঃ আ.আ.ম মেসবাহুল হক বাচ্চু ডাক্তার স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান। সকাল পৌনে ৯টায় একই স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, স্কাউটস, রোভার স্কাউটস, গার্লস গাইড এবং শিশু-কিশোর সংগঠন কর্তৃক বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় রাজমহল সিনেমা হলে বিনাটিকিটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হবে। সকাল ১১ টায় শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সুসাস্থ্য, জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ জুম্মা সকল জামে মসজিদে এবং সুবিধামত সময়ে মন্দির ও গীর্জায় বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থণা করা হবে। দুপুরে স্থানীয় সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ডে-কেয়ার ও বেসরকারি এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। এদিন বিকেল ৩টায় অফিসার্স ক্লাবে মেয়েদের আলোচনা সভা ও খেলাধুলা হবে। বিকেল ৩টায় ডাঃ আ.আ.ম মেসবাহুল হক বাচ্চু ডাক্তার স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৪টায় বারঘরিয়া দৃষ্টিনন্দন পার্কে ঘুড়ি উড়ানো উৎসব, বিকেল সাড়ে ৫টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আলোচনা ও সিম্পেজিয়াম এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকাল ১০টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে দেয়ালিকা প্রদর্শন। এছাড়া, জেলার সকল উপজেলায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনও বীর শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান ও বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। মহান বিজয় দিবসের সকল কর্মসুচী সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান।