আসছে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জয়পুরহাট-২ আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলাল উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুুরহাট-২ আসন। এই আসনে ক্ষমতাশীল দল আ”লীগের সংসদ সদস্য থাকলেও আসনটিতে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে আগাম নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন জয়পুুরহাট জেলা আ”লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক আক্কেলপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার ক্ষেতলাল হাসপাতাল মোড়ে এক পথসভায় তিনি নিজেকে আ”লীগের মনোনোয়ন প্রত্যাশী বলে ঘোষনা দেন। তিনি জয়পুরহাট-২ আসনের তিনটি উপজেলায় পথে প্রান্তরে আগাম গণ সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই জয়পুরহাট-২ আসনের বর্তমান সাংসদ কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন-এমপি’কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তার উদ্দেশ্যে, নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর তার বক্তব্যে বলেন, আপনি তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন। এ নির্বাচনী এলাকায় ১৯৮৮ সালে আমার বাবা নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপির নির্বাচন করেছিলো। আমার বাবার নামে ২৭ টি মামলা হয়েছিলো। আমার মাথায় আমাদের মাতা জননেত্রী শেখ হাসিনা হাত বুলিয়ে দিয়েছেন। আমার গায়ে হাত দিলে খবর আছে আমি সবকিছু জেনে বুঝে এবং গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই মাঠে নেমেছি।আগামী ডিসেম্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপির প্রার্থী হয়ে কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর ভাগ্য পাল্টিয়ে দেওয়ার জন্য মাঠে নেমেছি। তিনি আরো বলেন কিন্তুু আপনি আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলালের মানুষেকে সহজ সরল পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঠকিয়ে আসছেন। বিএনপির আমলে কারা মাঠে ছিলো তা তৃনমূল নেতাকর্মীরা ভাল করেই জানে। আর আপনি কোথায় ছিলেন। উড়ে এসে জুড়ে বসে প্রত্যেক উপজেলায় দুই তিন গ্রুরুপে বিভক্ত করেছেন। এই এলাকার মানুষ রাজপথের সঙ্গে জরিত । আমি এমপি হয়ে আগামীতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। আক্কেলপুর, কালাই ক্ষেতলালের মাঠিতে বহিরাগতের স্থান নাই। বলে এই নেতা আরো বলেন, বিনা ভোটে জিতা আর ভোট করে জিতা এক জিনিস নয়। আমি পৌরসভা নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে মেয়র হয়েছি। এলাকার মানুষের খোঁজখবর নিয়েছি, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার হাতে অসহায় মানুষকে সাহায্য করার জন্য কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন। আমাদের নেত্রী সব জায়গায় খবর নিয়েছেন। আগামী নভেম্বরে আমার মনোনয়ন ফাইনাল হবে ইনশাআল্লাহ। আগামী নির্বাচনে নৌকা নিয়ে ফাইনালাল খেলা হবে। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে হুসিয়ারী দিয়েও বলেন, আপনাদের স্বপন-এমপি কথায় আপনারা অনেক অন্যায় করেছেন সেই দিন শেষ। আমরা শেখ হাসিনার পক্ষে নামবো। ফাঁকা মাঠে কোন বহিরাগতদের গোল দেয়ার ওই দিন শেষ। আমি শেখ হাসিনার উন্নয়নের সাথে থেকে এক যোগে কাজ করার লক্ষে আপনাদের সর্মথনে মাঠে নেমেছি, বর্তমানে আমি ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, আগামী নির্বাচনে জনসমর্থন এবং দলীয় সিদ্ধান্ত আমার পক্ষেই থাকবে। নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর বিভিন্ন সমাবেশ ও আলোচনা সভায় এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে ঘোষণা দেন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মিছিলও করেন তিনি। তার এমন প্রচারণায় নিয়ে এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন-এমপির সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বও প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলাল) আসনটিতে দলীয় কোন্দল থাকলেও বর্তমান এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের দখলেই আছেই নির্বাচনী মাঠ।