এবছরও গাইবান্ধায় পটলের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। কৃষকরা ক্ষেত পরিচর্জার পটল উঠানো ও কাজ করছেন। অনুকুল আবহাওয়ায় ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি বাজারে দার ভালো পাওয়ায় খুশি চাষীরা। এতে ফসল চাষে আর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছে কৃষক। জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটাসহ সাতটি উপজেলায় আনেক জমিতেই এ বছর পটল চাষ হয়েছে। কার্তিকে জমিতে মাচা করে লাগানো পটল চৈত্র, বৈশাখ মাস থেকে ফলন উঠানো শুরু হয়। অনুকুল আবহওয়ায় এবছর পটলের ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি বাজার দর ভালো পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন চাষীরা। কৃষকরা জানান পটল চাষে ঝামেলামুক্ত এবং অল্প খরচেই হয় বলে এ আবাদ বেশ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই কৃষকদেও মাঝে পটল চাষের আগ্রহ বাড়ছে। আতিমাত্রায় বৃষ্টি বা বন্যা না হওয়ায় অপেক্ষাকৃতনিচু জমিতে পটল আবাদ হয়েছে। এক বিঘার জমি থেকে সপ্তাহে ৮ থেকে ১০ মণ পর্যন্ত পটলের উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়াও পটলের মধ্য আদা, কাচা মরিচ, হলুদ, আদা, মুখী কোচু আবাদ করছেন র্কষক। উৎপাদনের শুরুতেই বাজারে প্রতিমণ পাটল এক হাজার থেকে ১২’শ টাকায় বিক্রি হলেও এখনো তা ১ হাজার থেকে হাজার পঞ্চশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পটলে বাজার দর ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষক। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রেজা ই মাহামুদ বলেন, বারি ১ ও স্থানীয় জাতের পটল আবাদে লাভোবান হচ্ছেন চাষিরা। সময় মত ক্ষেত পরিচর্জা সহ নানা পরামর্শ দেওয়ার কথা জানান। এবার জেলায় ৪’শ ৮১ হেক্টর জমিতে পটলের চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন ২০ মেট্রিক টন। সরকার এ সবজির ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করলে পারলে এ চাষ আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন চাষীরা।