ভোলাহাটে এক সপ্তাহেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষণ মামলার আসামি। গত ১১ সেপ্টেম্বর/২২ রবিবার ভোলাহাট থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার অপরাধে ৯(৪)(খ), ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ ধারা অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে বলে মামলা সূত্রে জানা যায়। যাহার মামলা নম্বর ভোলাহাট থানা-৩/৬৬, তারিখ ১১/০৯/২০২২। ভুক্তভোগীর পিতা ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ি গ্রামের মোঃ আনসার আলীর ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন সেন্টু বাদী হয়ে মামলাটি করেন একই গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে মোঃ বেলাল উদ্দিন (৪১) কে আসামি করে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মোঃ সাদ্দাম হোসেন সেন্টুর প্রথম কন্যা অন্যদিনের মত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর পৌনে ১ টার দিকে আসামি মোঃ বেলাল উদ্দিনের মেয়ের সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে যায়। সাদ্দাম হোসেন সেন্টু বলেন আমার নাবালিকা মেয়েকে একাই পেয়ে শয়নকক্ষে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ চেষ্টা করলে শিশুটি চিৎকার করে বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়ে আসে নিজ বাড়িতে। আসার পর জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে। পরে জ্ঞান ফিরলে ঘটনা খুলে বলে। এমতাবস্থায় বিষয়টি আসামি বেলালকে বলতে গেলে আমাদের উপর চরম মারমুখী হয়ে যায়। পাড়াপ্রতিবেশি বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পরামর্শ দেন। উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী শিশু বাইতুল নাজাত তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ছাত্রী। সে এখন পর্যন্ত ১৫ পারা কোরআন শরীফ মুখস্থ করে অর্থাৎ ১৫ পারার হাফেজা। ভুক্তভোগীর পরিবার শংকা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সপ্তাহেও আসামি গ্রেফতার না হয়নি। দ্রুত আসামি গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি পরিবারের। এদিকে, পরিবারের অভিযোগ, আসামি এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা তুলে নিতে হুমকি অব্যাহত আছে। ভুক্তভোগীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এবিষয়ে আসামী মোঃ বেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং তার ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেফতার অভিযান চলমান আছে। খুব তাড়াতাড়ি আসামি গ্রেফতার হবে।