চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিলুপ্তির পথে দৃষ্টিনন্দন উপকারী এ ঢোলকলমি গাছ ? সাদা ও হালকা বেগুনি রঙের পাপড়ি জড়ানো দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় একটি ফুলের নাম ঢোলকলমি। ঢোল কলমি, বেড়ালতা বা বেড়াগাছ নামেও পরিচিত। দেশের সব এলাকার রাস্তার ধারে, বাড়ির পাশে, মাঠে-ঘাটে, জলাশয়ের ধারে, খাল-বিলের ধারে সর্বত্রই চোখে পড়ে। এই ঢোলকলমির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল গরু ছাগলে না খাওয়ায় এটা বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নদীতীর ভাঙন রক্ষা করে। অনেক সময় রান্নার কাজেও খড়ি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সাবেক অধ্যক্ষ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের দেশ সেরা অধ্যাপক মরহুম তরিকুল ইসলাম সাহেব বোটানির ক্লাশে ফুল কাকে বলে অত্যন্ত প্রানবন্ত ভাষায় বলেছিলেন, “প্রযোজন প্রক্রিয়া সম্পাদন করিবার জন্য উর্বর অনুর্বর পুষ্পপত্রের একাধিক ইস্তাবক লইয়া গঠিত বিশেষ ধরনের বিটপকে ফুল বলা হয়। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এই ঢোলকলমি গাছ দেশ স্বাধীনের পূর্বে এ অঞ্চলে তেমন দেখা যেত না। তবে ১৯৭১ সালে ভয়াবহ বন্যার সময় ভারত থেকে এ ঢোলকলমি গাছগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে ভেসে আসে। যা দিয়ে মানুষ বেড়া ঘেরার কাজে ব্যবহার শুরু করে। মাত্র পাঁচ দশক যেতে না যেতেই ঢোলকলমি গাছগুলোর অবাধ ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। ঢোলকলমি গাছগুলো যত্রতত্র আগের মত আর দেখা যাচ্ছে না। পর্যেবক্ষক মহলের মতে, প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় মূল্যবান এই উদ্ভিদকে সংরক্ষণের ও সম্প্রসারণের জন্য সকলের উদ্যোগ গ্রহণ জরুরী।