নাটোরের বনপাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জনের অধিক। আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালসহ স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নিহতরা হলেন, লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের রুহুল প্রামানিকের স্ত্রী মোহনা আক্তার মিলি (২৬), সদর উপজেলার পাইকেরদোল এলাকার সাদিয়া পারভিন (১২), তার ভাই কাউছার আলী (১৮), একই এলাকার আলমগীর হোসেন (৪৮), টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার এলাকার আব্দুল জলিল (২৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের এবং নাটোর সিরাজ উদ দৌলা সরকারী কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান হিরোক (৩০) এবং মাগুড়া জেলার মিজানুর রহমান (৩০)। বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি মশিউর রহমান ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নাটোর গামী ন্যাশনাল ট্রাভেলস এর সাথে ঢাকাগামী সিয়াম ট্রাভেলস এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৬জন নিহত হয়। এতে আহত হয় কমপক্ষে আরও ২০জন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমেনা হাসপাতালে আরও ১জনের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার কাজ করে। পরে আহতদের আমেনা হাসপাতাল, পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতাল, নাটোর সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এবং হাইওয়ের পুলিশ সুপার মুন্সী শাহাবুদ্দীন। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, মহাসড়কে বাঁক, অতিরিক্তি স্পীড এবং ওভারটেক করার কারনে দুইবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২৫হাজার টাকা দাফন-কাফনের জন্য এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মুন্সী শাহাবুদ্দীন বলেন, নিহত প্রত্যেকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ৫জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানায় মামলা হয়েছে।