চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেতবাড়িয়া এলাকায় সুধী সমাবেশ ও বার্ষিক ভোজের সময় জামায়াত-শিবির সন্দেহে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে ২৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
জাবালুন নূর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদরাসার শিক্ষক, কয়েকজন অভিভাবক ও সুধীজন মিলে মোট ২৫ জনকে আটক করা হয়। তবে মাদরাসার অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আলিম জানান, মাদরাসার ৪ শিক্ষকসহ সবমিলিয়ে অনুষ্ঠান থেকে ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সদর মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান এবিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিক্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জাবালুন নূর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদরাসার প্রধান শাখা বেতবাড়িয়ায় অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ, বার্ষিক ভোজ, দাতাদের জন্য দোয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নাম করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছিল। এই বৈঠকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওসি একেএম আলমগীর জাহান রবিবার সকালে জানান, এঘটনায় রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা হয়েছে। মামলায় এজাহার নামীয় আসামী ২৮জন। এর মধ্যে ২৫ জন গ্রেফতার হয়েছে, ৩জন পলাতক রয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে গ্রেফতারকৃত জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী ও বার্ষিক সভায় তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে তারা জামায়াত-শিবিরের উপ¯ি’তির বিষয়ে জানেন না। পরে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। তবে দুপুরের দিকে নারী ও শিশুদেরকে অনুষ্ঠান¯’ল থেকে বের করে দেয় পুলিশ। এর আগে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২ টা থেকে সুধী সমাবেশ ও বার্ষিক ভোজের আড়ালে জামায়াত-শিবিরের গোপন বৈঠক চলাকালীন সময়ে পুরো এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রওশন আলী, সদর মডেল থানার অফিসার-ইনচার্জ একেএম আলমগীর জাহান।