শিবগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জুবায়ের হোসেন এর মহানুভবতায় মেডিকেলের বারান্দায় পড়ে থাকা জালমাছমারীর মেরাজের স্ত্রী আক্তারার ফুটেছে মুখে হাসি। জানা যায়, প্রসূতি অবস্থায় শিবগঞ্জ সিট হাসপাতালে ভর্তি হলে ফুটফুটে পুত্র সন্তান জন্ম দেয় জালমাছমারীর মেরাজের স্ত্রী আক্তারা বেগম।
কিন্তু সংসারে অভাবের তাড়নায় রাজমিস্ত্রি মিরাজ ভেঙে পড়ে। দিশেহারা হয়ে মেডিকেলের বারান্দায় কান্নাকাটি করে তার পরিবার। আক্তারার বাবা ডাকু বিষয়টা শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জুবায়ের হোসেন কে জানালে তাৎক্ষণিক মেডিকেলে গিয়ে বাচ্চার খোঁজখবর নেন। ছোট ছেলে বাচ্চার জন্য পোশাক নিয়ে যায় ও মেডিকেলের সমস্ত বিল পরিশোধ করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর এমন কাজে পরিবারের মধ্যে সদস্যদের মুখে ফুটে হাসি। জানা গেছে, যোগদানের শুরু থেকেই অসহায়, দরিদ্র, শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী মানুষের কল্যাণে তিনি নিবেদিত প্রাণ হিসেবে সকলের মাঝে প্রমাণিত হওয়ায় সর্ব মহলের প্রশংসার ব্যাক্তিতে পরিণত হয়েছেন তিনি।
ভূমি সেবার পাশাপাশি মানবিক কাজ বাস্তবায়নের কারনে তিনি সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার বলে স্থানীও ব্যক্তিবর্গর অভিমত। ভূমি অফিসগুলোর দীর্ঘ দিনের জীর্ণতা আর দৈন্যতাকে পিছনে ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্যোমে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও অফিস সিষ্টেম সংস্কারের ব্রত নিয়েই কাজ করে চলেছেন শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ জুবায়ের হোসেন। ইতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন এই কর্মকর্তার কাছে সেবা প্রত্যাশীরা অনেক বেশি খুশী। বর্তমান এসিল্যান্ড যোগদানের পর থেকে তার ইতিবাচক মনোভাবের কারণে উপজেলা ভূমি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে নিয়মিত তদারকির ব্যাবস্থা করছেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে সরাসরি কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধান করছেন।
তাছাড়া এসিল্যান্ড অফিসে অফিসের সৌন্দর্য বর্ধন এবং জনসচেতনা মূলক বিভিন্ন লিফলেটসহ নানা কার্যক্রম দেখা গেছে। আরও জানা যায়, এসিল্যান্ড মোঃ জুবায়ের হোসেন অসহায় মানুষের বিষয়ে যেমন মানবিক, তেমনই বেদখলকৃত সরকারি জমি উদ্ধারে অনেক বেশি উদ্যোগী এবং কঠোর। ইতোমধ্যে পদ্মানদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়েছেন কঠোর ব্যবস্থা। অনেক করেছেন জরিমানা এবং দিয়েছেন জেলও। স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছে থেকে উদ্ধার করছেন সরকারি খাস জমি, খাস পুকুর। এছাড়াও তিন ফসলি জমিতে যেন পুকুর খনন করতে না পারে সেজন্য অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। বাল্যবিবাহ বন্ধ করনে সবসময় তৎপর রয়েছেন। মিসকেস (নামজারি জমাভাগ খারিজ সংক্রান্ত) মামলা শুনানির মাধ্যমে খুব কম সময়ে নিষ্পত্তি করেন। তিনি যোগদানের পর থেকে ভূমি অফিসকে দালালমুক্ত করে গতিশীলতা ফিরে এনেছেন। ভূমি অফিসে আগত সেবাপ্রত্যাশিদের সমস্যা আন্তরিকতার সাথে শুনে তাৎক্ষনিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেন। পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ও গণশুনানী নিয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিকারের চেষ্টা করেন। এমন অসংখ্য ভালো কাজ করে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।