চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ৪ টি শিশু গাছ কাটা পড়লেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(বিএমডিএ) কর্তৃপক্ষ। ঈদুল ফিতরের ছুটির মধ্যে গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুরে গাছ খেকোরা দিনের বেলায় গাছগুলো কেটে নিয়ে গেলেও কর্তৃপর্ক্ষের দাবী, কারা কেটেছে, বিষয়টি তারা জানেনা। গাছ গুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা । স্থানীয়রা জানায়, ঈদের ৩ দিন আগে গোমস্তাপুর উপজেলার ৪ নম্বর পার্বতীপুর ইউনিয়নের আরুখা গ্রামের দানাবুড়ীপুরের একটি পুকুরের চারপাশে সরকারের বিএমডিএ এর অধীনস্থ ৪ টি বিশাল শিশা গাছ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একই এলাকার ৩ ব্যক্তি গাছগুলো কিনে নিয়েছেন বলে প্রচার করে কেটে নেন।একদিনেই গাছ গুলো কেটে তারা সেখান থেকে নিয়ে সরে পড়েন। স্থানীয়দের দাবী গাছগুলো কাটার জন্য নির্দেশণা দেন একই ইউনিয়নের প্রভাবশালী ব্যক্তি জগনাতপুর গ্রামের মোঃ মোঃ সমির উদ্দিনের ছেলে আখের আলী, নশকালিপুর গ্রামের মৃত্যু জমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ ইয়াসিন আলি (৩৭) ও আনারপুর গ্রামের মোঃ কফিল উদ্দিনের ছেলে মোঃ মাহতাব আলী (৫৯)। পারবর্তীপুর আড্ডা এলাকার মুকুল রানা জানান, তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে গত সোমবার বিষয়টি জানতে পেরে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন আখের আলী ও তার ২ সহযোগী গাছ গুলো কেটে নিয়ে চলে গেছেন।
এ সময় স্থানীয়রা গাছ কাটার কারন জানতে চাইলে তারা টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কিনে নিয়ে কেটেছেন বলে দাবী করেন। মুকুল রানা আরও জানান, এরা এর আগে বিভিন্ন এলাকায় আরও বেশ কিছু গাছ একই কায়দায় কেটে নিলেও এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়না কেউ। পুকুরের পাড়ে খাস জমিতে বসবাসকারী নাদিম(ছদ্মনাম) জানান, আমরা গরীব মানুষ ।খাসজমিতে বাস করি। তাই বাধা দেয়ার সাহস পায়নি। এলাকার সবাই জানে কেউ কিছু না বলায় আমরাও চুপ ছিলাম। আনারপুর গ্রামের ৫৯ বছর বয়সী জাইনুদ্দিনও জানান, আখের, ইয়াসিন ও মাহতাব পুকুরপাড় থেকে ৪ টি গাছ দিনের বেলায় কেটে নিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আখের আলী দাবী করেন, তারা পুকুরের ধারে কোন গাছ কাটেননি। কে বা কারা কেটেছে তা তারা জানেনা। আর টেন্ডারের বাইরে গাছ কাটার প্রশ্নই ওঠেনা। এ ব্যাপারে বিএমডিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, পাবর্তীপরে ৪ টি গাছ কে বা কারা কেটে নিয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি এক কর্মকর্তাকে খোঁজ নিতে বলেছি। জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে একটি দুর্গম এলাকায় একই কায়দায় ৭/৮ টি গাছ কাটা হলেও ঐসময়ও কোন ব্যবস্থা নেয়নি বিএমডিএ। সে সময় গাছগুলো বন বিভাগ ও বিএমডিএ একে অপরের গাছ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এভাবে সরকারী গাছ দিনের পর দিন গাছ খেকোরো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আর কর্তৃপক্ষের কোন গুরুত্ব না হওয়ায়, জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যারা বা যেই হোক, এদের খুজে বের করে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, এমনটায় আশা এলাকাবাসীর।