চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোমস্তাপুর উপজেলার মরিচাডাঙ্গা এলাকার গোমস্তাপুর-রহনপুর সড়কের দুই ধারে বৃক্ষ নিধনের দ্বিগুন পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার গাছ লাগানোর দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় সড়কের পাশে বিভিন্ন গাছের চারা লাগিয়ে বৃক্ষনিধনের প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকালে গোমস্তাপুর-রহনপুর সড়কে এই মানববন্ধন হয়।
পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ‘গ্রীণ ভয়েস’ ও স্থানীয় শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মানববন্ধনে গোমস্তাপুর-রহনপুর সড়কের মরিচাডাঙ্গা ও বাচ্চামারী-রামদাস বিল সড়কের প্রায় ৫ হাজার বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদ জানানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী, এই দুই সড়কে ১০ হাজার গাছের চারা লাগানোর দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ছাত্র ইসমাইল হাসান, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র কাউসার আলী, রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. রাইহান বাবু, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের গোলাম কিবরিয়া সালমান, রাজশাহী সিটি কলেজের দর্শন বিভাগের মো. আনাস আলীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পড়ূয়া শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে অধিক পরিমানে বনভূমি থাকার কোন বিকল্প নেই।
এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে অধিক হারে বৃক্ষ নিধনের ফলে এর খেসারত দিচ্ছি আমরা। ফলাফল হিসেবে প্রকৃতি আমাদেরকে দিচ্ছে অনাবৃষ্টি, খরা, তীব্র তাপদাহ। এই অবস্থা থেকে উত্তোরনের একমাত্র উপায় অধিক হারে গাছ লাগানো। কিন্তু না করে উল্টো সড়কের দুই ধারে থাকা ২০-৩০ বছর বয়সী এসব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কাটা গাছের দ্বিগুণ গাছ লাগানোর নিয়ম থাকলেও, তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিএমডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই সড়কে থাকা শুধুমাত্র আমগাছগুলো আমাদের। তবে বনজ ও অন্যান্য গাছ জেলা পরিষদের। আমাদের গাছ কাটা হয়নি। আর যেসব গাছ কাটা হয়েছে, এবিষয়ে জেলা পরিষদ বলতে পারবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন বলেন, সড়কের দুই ধারে যেসব গাছ কাটা হয়েছে, সেখানে পুনরায় নতুন করে গাছ লাগানো হবে। এনিয়ে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। তবে নির্বাচনসহ বিভিন্ন কারনে গাছ লাগাতে দেরি হচ্ছে। খুব শীগ্রই সড়কের দুই ধারে নতুন করে গাছের চারা লাগানো হবে।