চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফ লাগানো অবস্থায় পালিয়েছে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার মাসুদ রানা। বুধবার রাতে সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের কোদালকাটি চর এলাকা থেকে মাসুদ হ্যান্ডকাফ নিয়ে সীমান্তের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তার সন্ধানে অভিযানে নামে। কিন্তু গত চার দিনেও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ওই আসামি এখন পর্যন্ত নিরুদ্দেশ। পুলিশের ধারনা—সে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামি মাসুদ রানা (২৮), সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের কোদালকাটি জেলা পাড়ার নাজিবুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে একটি মাদক মামলার ওয়ারেন্টমূলে মাসুদ রানা নামে ওই আসামিকে বিজিবির সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় আনার পর গ্রেপ্তারকৃত আসামির মোবাইলে হেরোইনের ছবি দেখা যায়। পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে দূর্গম চরাঞ্চল সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের কোদালকাটি এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশের একটি বিশেষ টিম। অভিযানে গিয়ে গ্রেপ্তার আসামির দেখানো মতে কোটি টাকা মূল্যের এক কেজি ৮২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। সে সময় মাসুদের দুই হাতে একটি হ্যান্ডকাফ লাগানো ছিল। ফেরার পথে পুলিশ সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে মাসুদ হ্যান্ডকাফ নিয়েই দৌড়ে অন্ধকারের হারিয়ে যায়। এরপর পুলিশ পিছু নিলেও তাঁকে ধরতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, আসামি মাসুুদ রানার বিরুদ্ধে মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তাঁর বাবা নাজিবুল ইসলামও মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি এখন ভারতে আত্বগোপনে রয়েছেন। তাঁর ভাই ও খালাতো ভাই সবাই মাদক কারবারে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধীক মামলা রয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মাসুদ রানা সীমান্ত এলাকাতেই অবস্থান করছিল। এসময় তাঁর হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হ্যান্ডকাফ কেটে স্থান পরিবর্তন করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তারের পর মাদকের একটি বড় চালানের সন্ধান জানতে পারে পুলিশ। এরপর রাতে তাঁকে নিয়ে মাদক উদ্ধারে যায় পুলিশের একটি দল। অভিযানে গিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামির দেখানো মতে এক কেজি ৮২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় চরাঞ্চলের ওই গ্রামে প্রচুর বৃষ্টি ও বজ্রপাত হচ্ছিল। এমন সময় মাসুদ পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যায়। আমরা এলাকার তিনজন জনপ্রতিনিধিসহ সাধারন মানুষের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তারে বিজিবি ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় অভিযান করছি। আশা করি শিগগিরই মাসুদ ধরা পড়বে। এ ঘটনায় মাসুদ রানার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।