ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে বেসরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। দাবিগুলো হলো, মাসিক ভাতা ৫০ হাজার টাকা করা, নিয়মিত প্রদান এবং সকল ট্রেইনি চিকিৎসকদের বকেয়া দ্রুততম সময়ে পরিশোধ করা।
শনিবার থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনও কর্মবিরতি শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বেসরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। তাদের দাবী, বেসরকারি পোস্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ন্যায্য দাবির বিষয়ে বারবার কর্তৃপক্ষ সমর্থন দিয়ে এলেও তাদের আশ্বাস বরাবরের মতোই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রাইভেট ট্রেইনিদের ব্যাপারে যে মন্তব্য করেছেন সেটা থেকে প্রতীয়মান হয়, মন্ত্রী ট্রেইনি চিকিৎসকদের কাজের পরিধি এবং মানবেতর জীবন সম্পর্কে মোটেও অবগত নন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে ২০ হাজার টাকায় একজন চিকিৎসক কীভাবে তার সংসার চালাবে? পোস্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেইনি চিকিৎসক রাকিব আদনান চৌধুরী বলেন, গত অর্থবছরে বাজেটের ৬ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অথচ ভাতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে না এবং নিয়মিতও প্রদান করা হচ্ছে না। এটি স্বাস্থ্যখাতের জন্য লজ্জার বিষয়। চমেক হাসপাতাল পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা.সাইফুল ইসলাম বাদল প্রতিবেদককে বলেন, চমেক হাসপাতালে প্রায় তিনশ জন বেসরকারি পোস্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেইনি চিকিৎসক রয়েছে। তারা শনিবার সকাল থেকে ওয়ার্ডে আসেননি, কর্মবিরতি পালন করছেন।