চাঁপাইনবাবঞ্জে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ডেঙ্গু রোগী। গত ২৪ ঘন্টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে শিশুসহ ভর্তি হয় ৪ জন। বর্তমানে ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধিন রয়েছে ৮জন। এপর্যন্ত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছে মোট ২৪ জন।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ। তিনি বলেন, গত জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত ২৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধিন রয়েছে ৮জন। এর মধ্যে ২ জন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত। বাকীরা জেলার বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে নিজ এলাকায় ফিরে ডেঙ্গু টেষ্ট করার পর নিশ্চিত হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। আত্রান্তদের বেশির ভাগই ঢাকা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আসে এবং জ্বর হলে পরীক্ষায় তাদের শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তিনি বলেন- বৃহষ্পতিবার দেড় বছরের একজন শিশুসহ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৮ জন। প্রতিদিনই দুয়েকজন রোগী আসছে। ইতিমধ্যেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ হাসপাতালে ১০ বেডের একটি ডেঙ্গু কর্ণার খোলা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্ততির পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিও জরুরি। তাই মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে জেলা তথ্য অফিস মাইকিং করছে। সিভিল সার্জন আরো বলেন-বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা, বাড়ির ছাদে টবে পানি যেন না জমে সে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে। পৌরসভাকেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য বলা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, শিশুসহ যে কারো শরীরে জ্বর হলে সঙ্গে সঙ্গে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালসহ উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোয় গিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষা ফি ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডেঙ্গুর জীবাণু ধরা পড়লে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে। মশারির মধ্যে ঘুমানোর জন্যও তিনি পরামর্শ দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ জিয়াউর রহমান আরমান জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে, মসজিদে মসজিদে মাইকিং ও করা হচ্ছে।