1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
পাবনায় নিখোঁজের দুইদিন পর সেফটিক ট্যাংক থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন

পাবনায় নিখোঁজের দুইদিন পর সেফটিক ট্যাংক থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩
  • ৮৬ বার পঠিত

পাবনায় নিখোঁজের দুইদিন পর সেফটিক ট্যাংক থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজের দুইদিন পর একটি সেফটিক ট্যাংক থেকে পাবনার আতাইকুলায় আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক (৫০) নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক জোসনা ও সায়াম নামের এক দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে থানার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের দড়ি শ্রীকোল গ্রামের দড়ি শ্রীকোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের বাড়ি খাইরুল ইসলামের সেফটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত (৮ আগষ্ট) রাতে নিখোঁজ হন আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক। নিহত আব্দুল কুদ্দুস সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের দড়ি শ্রীকোল গ্রামের সিরহাব প্রামানিকের ছেলে। তিনি কৃষকের কাজ করতেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে স্থানীয় একটি চায়ের দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক। রাতে বাড়িতে না যাওয়ায় পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান পায় নি। পরেরদিন সকালে নিখোঁজ ব্যাক্তির বাড়ির সামনে স্যান্ডেল, গামছা ও একটি রশি পাওয়া যায়। তারপর বিষয়টি নিয়ে দুবলিয়া ফাঁড়ি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। পরে দিনব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায় না। পরে পরিবার থানায় একটি নিখোঁজের সাধারন ডায়েরি করেন। পরের দিন সকালে দড়ি শ্রীকোল গ্রামের খাইরুল ইসলামের সেফটিক ট্যাংকে মরদেহের সন্ধান পায়। মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। মরদেহের অর্ধেক পচে গলে গেছে। নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা একজন নিরিহ মানুষ ছিলেন। তাকে পুর্ব শত্রুতার জেড়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রুপপুর প্রকল্পের কাজে থেকে বাড়ি এসে শুনি বাবা নিখোঁজ হয়েছে। বাড়ির পাশের জোসনা ও তার স্বামী সায়াম আমার বাবাকে রাতে গামছা পেঁচিয়ে ও রশি দিয়ে বেঁধে হত্যা করে থাকতে পারে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুনসী বলেন, সে ছোটবেলা থেকেই অনেক ভাল মানুষ ছিলেন। কারও সঙ্গে কোন বিরোধে জড়ায়নি। আমরা তার খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি করছি।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, কিভাবে হত্যা করা হয়েছে এখনো বলা সম্ভব হচ্ছে না। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে বিষয়টি বলা যাবে। এ ঘটনা নিয়ে আমরা অধিকতর তদন্ত করছি। খুব দ্রুতই রহস্য উদঘাটন হবে। এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!