পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি সেখানেই খামার গড়ে তোলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান তাসেম আলী। বড় ও মাঝারি মিলে মোট ১৭টি গরু ছিল তারা খামারে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে পুকুর ও খামারের চারদিকে মোট ৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেন। রবিবার (২০ আগষ্ট) দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে তাসেম আলীর খামার থেকে ৫টি অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরু চুরি হয়েছে। সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহার দক্ষিন শহরের খামার থেকে এসব গরু চুরি হয়। চুরিতে অংশ নেয় ৭-৮ জন সদস্য। তারা সবাই মুখোশ পরিহিত ছিল। খামারের দরজার তালা ভাঙতে ব্যবহার করা হয় গ্যাস এবং চোরদল খামারে প্রবেশ করে তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ তাঁর কেটে দেয়। এনিয়ে সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, খামার মালিক ও গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান তাসেম আলী। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে খামার পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় গরুর খাবার ও পানি দিয়ে খামারে তালা মেরে ঘুমিয়ে যান খামার দেখভালের দায়িত্বে থাকা রাখাল। রাত আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটের দিকে চোরের দল খামারে প্রবেশ করে গ্যাস দিয়ে তালা কেটে প্রবেশ করে। এছাড়াও সাতটি ক্যামেরার মধ্যে সামনের দিকে থাকা তিনটি খামারের সংযোগ তাঁর কাঁচি দিয়ে কেটে দেয়। মোট ৬টি গরু চুরি হলেও সকালে খুঁজতে বের হলে খামারের পাশের ধানক্ষেতে একটি গরু পাওয়া যায়। খামার মালিক তাসেম আলী বলেন, মোট ১১টি বড় গরু ও ৬টি ছোট গরু মিলে খামারে মোট ১৭টি গরু ছিল। এরমধ্যে চুরি হয়েছিল ৬টি বড় গরু। সকালে খামারের পাশে একটি গরু পাওয়া যায়। সোমবার বিকেল পর্যন্ত গরুগুলোর কোন সন্ধান মেলেনি। আশা করি, পুলিশ জোরালোভাবে তদন্ত করে গরুগুলো উদ্বার করবে। অষ্ট্রেলিয়ান জাতের গরুগুলোর প্রত্যেকটির দাম প্রায় ৩ লাখ টাকা করে। এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, খামারীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সহ পুলিশের একটি তদন্ত দল খামারটি পরিদর্শন করেছেন। গরুগুলো উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।