নাটোরে সদর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আনিসুর রহমান। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শরীফুল ইসলাম (৩২) ওই উপজেলার দিঘাপতিয়ার করোটা এলাকার বাসিন্দা। মামলার বিবরণে জানা যায়, বিয়ের কিছুদিন পর ২০১৪ সালের নভেম্বরে যৌতুকের জন্য স্ত্রী হাসনা হেনাকে মারপিট, অত্যাচার ও নির্যাতন করতে থাকে তার স্বামী শরীফুল ইসলাম। এ সব কারণে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এক বছর পরে যৌতুকের জন্য আর নির্যাতন করবে না অঙ্গীকার করলে তাদের আবার বিবাহ হয়। কিন্তু আবার যৌতুকের জন্য অত্যাচার করলে হাসনার পরিবার মেয়ের কথা ভেবে এক লাখ টাকা দিলে দুই লাখ টাকার জন্য দাবি করেন শরীফুল। এর মধ্যে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হন হাসনা। ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট রাত ৯টার দিকে যৌতুকের টাকার জন্য মারপিট করে শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যান শরীফুল। এ ঘটনায় নিহতের মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
সোমবার নাটোরের জেলা ও জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান।