জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক ব্যক্তির মাফলার দিয়ে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে আক্কেলপুর থানা পুলিশ। থানা পুলিশের ধারণা, গভীর রাতে কে বা কাহারা তাকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের আওয়ালগাড়ী তুলশীগঙ্গা মাদারতলী এলাকায় বাঁধের নিচে একটি আম গাছে লুঙ্গি ও কালো জ্যাকেট পরিধানরত মাফলার দিয়ে হাত পা বাঁধা অবস্থায় আওয়ালগাড়ী মাঠপাড়া গ্রামের বিরেন রবিদাসের পুত্র তিন সন্তানের জনক নরেশ রবিদাস (৪৫) এর ঝুলন্ত পা মাটিতে ঠেকানো মরদেহ দেখতে পায়। নিহত নরেশ উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চৌকিদার, তিনি জুতা সেলাইয়ের কাজ করতেন। নিহত নরেশের পুত্র সুজন রবিদাস বলেন, আমার পিতা একজন চুরিমালা (কসমেটিকস) ব্যবসায়ী। আওয়ালগাড়ী সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত কাল আওয়ায়লগাড়ী সূর্য তরুন সংঘের আয়োজনে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খেলা ধুলা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চুরিমালার কসমেটিকসের দোকান দেয়। রাত ৮টায় দোকান থেকে বাড়ি ফিরে আসেন এবং রাতের খাবার খেয়ে বেরিয়ে যান। পরে রাতে বাড়ি ফিরে আসেনি। সকালে আমরা খোঁজা খুঁজি শুরু করি এমন সময় তুলশীগঙ্গা মাদারতলি ঘাটে বাঁধের নিচে একটি আম গাছে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়ে গ্রামবাসি খরব দেয়। আমি এখানে এসে দেখি মাফলার দিয়ে হাত পা বাঁধা অবস্থায় বাবার ঝুলন্ত মরদেহ । সুজন বলেন, মাফলারটি আমার বাবার। কে বা কাহারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সঠিক ভাবে বলতে পারছি না বলে সাংবাদিকদের জানায়। এবিষয়ে আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর রহমান বলেন, ভোরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নেয়া। মরদেহ গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকলেও দুই হাত, পা মাফলার দিয়ে বাঁধা ও পা মাটিতে ঠেকানো ছিল। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে, গভীর রাতে কে বা কাহারা নরেশকে হত্যা করে মরদেহ গাছে ঝুঁলিয়ে রাখতে পারে। পরে ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আক্কেলপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে হত্যার আসল রহস্য জানা যাবে।