উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের পাশাপাশি মেঘলা আকাশের টানা ৮দিন পর দেখা মিলেছে সূর্যের। কিছুটা হলেও জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। সূর্যের আলো পেয়ে শহরগুলোর বাসা বাড়ির সামনে আর ছাদে অনেকেই রোদ পোহাতে দেখা গেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় কুয়াশার দাপট এবং ঠান্ডার প্রকোপ কম ছিল। এর আগে টানা কয়েকদিনের শীতে কাবু হয়ে পড়ে ছিলো এই অঞ্চলের মানুষ। বৈরি আবহাওয়ার কারনে ব্যাঘাত ঘটেছে মানুষের স্বাভাবিক কর্মজীবন। তবে খানিকটা সূর্যের মুখ দেখা গেলেও দুপুর ১২টার পর আবার আকাশ ঢাকতে শুরু করে।
তবে, কমেনি শীতের তীব্রতা। জরুরী কাজ না থাকলে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না। শুক্রবার সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের থেকে এদিন সকাল ৯টার পর থেকে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। শ্রমজীবীরা নিজ নিজ পেশায় কাজে বের হয়েছেন। এদিকে কাঁচাবাজারে মানুষের ভীড় ছিল। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ক্রেতারা কম আসতেন, ব্যবসাও ছিল মন্দা। সে তুলনায় শুক্রবার সকাল ৯টার পর থেকে বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। দৈনন্দিন প্রয়োজনে অনেকেই বের হয়েছেন। অটোরিকশাচালক তারেক বলেন, সকালে সূর্যের দেখা পাওয়া গেছে। মানুষ বাজারে আসতে শুরু করে। গত কয়েকদিন খুব খারাপ অবস্থা ছিলো, তুলনামূলক আবহাওয়া ভাল থাকায় আয়ের পরিমাণ বেড়েছে। পাঠানপাড়ার আজিজুর রহমান বলেন, কনকনে ঠান্ডা আর কয়েকদিন থেকে রোদের দেখা মিলছিল না। বাড়িতে একগাদা ময়লা কাপড় জমে থাকার পর সবগুলো কাপড় ধুয়ে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। রোদের দেখা মিললে আস্তে আস্তে শীত কমতে পারে। এই শীতে মানুষসহ প্রাণীদেরও কস্ট হচ্ছে। হিমেল হাওয়ায় আরও বেশী কনকনে ঠান্ডা পড়েছে।