চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মোড়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হবার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। এ ছাড়া গত বুধবার রাতে ১৩২ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, আইয়ুব আলী, আলমগীর কবীর, রাহুল ও নিশান হাসান। তাঁদের মধ্যে আইয়ুব আলী জামায়াতের রোকন। আলমগীর ও নিশান গণ-অধিকার পরিষদের নেতা। এর আগে টিপু সুলতান ও কালু নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদি হাসান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হয়নি। ওসি মেহেদি হাসান বলেন, শহরের কয়েকটি আন্দোলনস্থলের কাছ থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাশকতার কারণে এসব বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশ ও আন্দোলনকারীরা জানান, বৃহস্পতিবার শহরের কলেজ মোড়ে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ছিল। কিন্তু সেখানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সেখান থেকে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এ বিষয়ে ওসি মেহেদী হাসান জানান, কলেজ মোড় থেকে যাদের আটক করা হয়েছে, যাচাই-বাছাই শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে, বড় ইন্দারা মোড়ে অবস্থিত এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশেও সকালে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় দু’জনকে পুলিশ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বর্তমানে শহরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে গত মঙ্গলবার ও বুধবার বিক্ষোভ মিছিল ও শান্তিমোড়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর বারঘরিয়া প্রান্তেও অবরোধ করে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও শিবগঞ্জে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে।