গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে শ্যামলী আকতারের ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবারটি প্রশাসনের সকল পর্যায়সহ বিভিন্ন মহলের দ্বারস্থ হয়েও কোন সহযোগিতা পাচ্ছে না। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের অসহায়ত্ব তুলে ধরে প্রতিকার দাবি করেন। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তৌফিকুল হাসান রিফাত। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, তিনি পলাশবাড়ি পৌরসভার নুনিয়াগাড়ির গ্রামের মৃত আফতাব হোসেনের ছেলে। প্রভাবশালী, ভূমিদস্যু শ্যামলী আক্তার তার প্রতিবেশী। এই শ্যামলী আকতার মামলাবাজ। সে বিভিন্ন সময়ে রিফাতের পরিবারসহ অন্যান্যদের নামে প্রায় ৫০টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলাগুলোর মধ্যে ২৮টি মামলা খারিজ হলেও ২২টি মামলা আজও বিদ্যমান। গত ৩১মে শ্যামলী আকতারের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী দলবল রিফাতের ৬ শতক জমি দখল করে টিনের চালা ওঠায়। গত ১৩ জুলাই রিফাত তার বাবার কবরের পাশে একটি মেহগনি গাছ কাটতে গেলে শ্যামলী আকতার ও তার লোকজন বাধা দেয়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই তুফানসহ সাধারণ ডায়রী করার জন্য থানায় যাওয়ার পথে পলাশবাড়ী চৌরাস্তায় শ্যামলী আকতারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তৌফিকুল হাসান রিফাত ও তার ভাই তুফান গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় পলাশবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু আসামিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তৌফিকুল হাসান রিফাত জানান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পলাশবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রিফাতের বিধবা মা রিজিয়া বেওয়া উপস্থিত ছিলেন।