রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সেচ না পাওয়ায় দুই আদিবাসী কৃষকের মৃত্যু কীটনাশক পানেই হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ভিসেরা প্রতিবেদন হাতে আসার পর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সে তথ্যই দেওয়া হয়েছে বলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. কফিল উদ্দিন জানিয়েছেন। গত ২৪ মার্চ গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের নিমঘুটু গ্রামের কৃষক অভিনাথ মারান্ডি (৩৬) ও ২৫ মার্চ তার চাচাত ভাই রবি মারান্ডি (২৭) মারা যান। পরিবারের অভিযোগ, জমিতে সেচ না পেয়ে ফসল নষ্ট হতে থাকলে মনের দুঃখে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। সে ঘটনায় নলকূপ অপারেটরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ড. কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, মৃতের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করে ভিসেরা প্রতিবেদন প্রস্তুতের জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। ভিসেরা প্রতিবেদন অনুযায়ী মৃত দুজনের শরীরে কীটনাশক বিষ পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় আমরা অর্গানো ফসফরাস যৌগ নামে একধরনের কীটনাশক বিষ পাই। এই বিষের প্রভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহফুজুর রহমান।