জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের কুশরপাড়া মোড় থেকে তুলে নিয়ে পরিষদের এক ঘরে আবদ্ধ করে দফায় দফায় এক সহকারি শিক্ষককে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দানিপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিঃ বিকাশ বারোয়ারকে দীর্ঘদিনের জমির বিরুদ্ধে চৌকিদার দিয়ে ডেকে নিয়ে ৩ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, মেম্বার হাবিবুর রহমান ও মেম্বার আব্দুস সেলিম পরিষদের কোন ঘরে আবদ্ধ করে বেধড়ক পিটিয়েছে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ঐ শিক্ষক।
শিক্ষকের বাড়ি উক্ত ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড চক কিত্তলি নামক গ্রামে। এলাকায় এ ব্যাপারে একটা চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে চৌকিদার চৌকির উপরে শোয়াইয়া চেপে ধরতে বলেন। তারপরে চেয়ারম্যান নিজে চৌকিদারের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান, এভাবে হাবিবুর মেম্বার সেলিম মেম্বার তাকে চোরের মত পেটান এবং বলেন শালা তোকে মেরে ফেলবো। ঘটনাটি রবিবার বেলা ১টা উক্ত ইউনিয়ন পরিষদে ঘটে। বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে পাশের দোকানদাররা তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের হাতে তুলে দেন। তাকে পোরশা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। পোরশা উপজেলা আদিবাসী পরিষদ এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং এর ন্যায্য বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ৩ নং ছাওড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করাই আমি তাকে লাঠি দিয়ে পেটা করেছি। তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে ইওএনও অফিসে একটা সালিশ আছে।