স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। তবে সুনির্দিষ্ট কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। গ্রেপ্তারের পর সাধন চন্দ্রকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তিন দিন পর গঠন করা হয় অন্তর্র্বতী সরকার। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হচ্ছেন আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা। সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ প্রায় অর্ধশত জন এখন কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ সাবেক মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেপ্তারের খবর দিল ডিবি। চলতি বছর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-১ আসন থেকে টানা চতুর্থবার জয় পান সাধন মজুমদার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া সাধন ৫ অগাস্ট সরকার পতনের আগ পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর দায়ের করা একাধিক মামলায় সাধন মজুমদারকে আসামি করা হয়। সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর এ তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-১ সংসদীয় আসনে ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সবশেষ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন সাধন চন্দ্র মুজমদার। দলীয় পদ আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এলাকায় গড়ে তোলেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট, যার মূল লক্ষ্য ছিলো শুধু অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন।