গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এরমধ্যে জেলা সদরের ৫টি, সুন্দরগঞ্জের ৭টি, সাঘাটার ৮টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঘাঘট নদীর পানি বাড়ায় চর ও দীপ চরের প্রায় ২৯ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। পানি উন্নয়নবোর্ড সুত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের পানি আরও ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এতে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর নিউব্রীজ পয়েন্টে ০৭ সে.মি. বৃদ্ধি পওয়ায় বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, করতোয়া নদীর পানি ১৮ সে.মি. বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা নদীর পানি আজও কাউনিয়া পয়েন্টে ০১ সেন্টিমিটার কমায় বিপৎসীমার ৪৮ সে.মি. নিচ রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বন্যায় চার উপজেলার চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পুকুর এবং বিলের মাছ ভেসে গেছে। চরের অনেক বাড়ী ঘর ও রাস্তায় পানি উঠে নষ্ট হয়েছে। বন্যা এলাকায় ৬৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব এলাকায় ১৮১ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ৩ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ত্রান হিসাবে ১৬৫ মেট্রিক টন জি আর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।