ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা এবং সদর উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান এবং বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে ভূললি নদীতে গোসল করার সময় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয় এবং অপরজন গাছের নিচে আশ্রয় নিতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। এ সময় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় তিনজন এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় তিনজন আহত হন। নিহতরা হলেন-ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী লাউথুতি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন (১৫) ও একই এলাকার দুলালের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৬)। অপরজন হলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান (২৩)। আহতরা হলেন-ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের বরকত আলীর স্ত্রী রিনা বেগম (৩২), হাফিজুল ইসলামের ছেলে ফারুক (১৬), ইউসুফ আলী ছেলে ফরিদ (১৬)। তারা সকলে একই এলাকার বাসিন্দা। তারা ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অপরদিকে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের সবুজের ছেলে ফয়সাল (৮), আমজানখোর ইউনিয়নের কালীবাড়ী গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে রিমান (১০) ও মনিরুলের ছেলে সাকিবুল হাসান (১০)। তারা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে বৃষ্টির সময় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী লাউথুতি গ্রামে বাড়ির পাশে ভূল্লী নদীতে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মনির হোসেন ও আরিফুল ইসলাম মারা যান। এ ছাড়াও রিনা বেগম তার ছেলেকে খুঁজতে গেলে তিনিসহ আরও দুইজনসহ মোট তিনজন আহত হন। অপরদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামে বৃষ্টির সময় গাছের নিচে আশ্রয় নিতে গিয়ে বজ্রপাতে ফয়সাল নিহত হন, এ সময় সাথে থাকা ৩ জন সজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন ।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, বালিয়াডাঙ্গীতে বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তি হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। এ ছাড়াও সদর উপজেলায় ২ জনের মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। আহত তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।