শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষাধিক অসহায পরিবার কাঁপছে প্রচন্ড শীতে। তার মধ্যে শিবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ১১টি পরিবারের প্রায় ৫ হাজার, ভাঙ্গন কবলিত দূর্লভপুর, পাকা ও উজিরপুর ইউনিযনের প্রায় ৫০হাজার শীতে অসহায় জীবন যাপন করছে। সপ্তাহব্যাপী শৈত্য প্রবাহে গায়ে গরম কাপড় না থাকার কারনে অতীষ্ঠ হযে উঠেছে এদের জীবন।প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এবার কম্বলের বরাদ্দ খুবই কম পেয়েছি। এদের কথা ভেবেই আরো কম্বলের জন্য আবেদন করেছি।সরেজমিনে নদী ভাঙ্গন কবলিত ও আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘুরে ভাঙ্গন কবলিত ও আশ্রয়ন প্রকল্প বাসীরা জানান, আমাদের বাড়িগুলো নদীরতীরে এবং ফাঁকা স্থানে হওয়ায় কনকনে শীতে আমাদের জীবন আর বাঁচে না। মানুষ দরদী এ সরকারের কাছে এ কষ্টের কথা পৌঁছিলে আমরা অবশ্যই শীতের কাপড় পাবো। সরেজমিনে শিবগঞ্জের সবচেয়ে বড় আশ্রযন প্রকল্প ২ তত্তীপুরের রিয়া খাতুন, চাম্পা রানী, আলিয়া খাতুন, জোহরা খাতুন,মিনতী রায, জাকির হোসেন, গোলাম আলি, সেলিমা বেগমসসহ ৫০/৬০ জন নারীপুরুষ ও সাহাপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের একরাম আলি, রু¯‘ম আলি,হাসেন আলি,নাসরিন বেগম,জোসনা বেগম, সাবিনা বেগম,আদরী বেগমসহ ২৫/৩০জন নারীপুরুষ এ প্রতিবেদককে হাউমাউ করে কেঁদে বলেন শেখ হাসিনা আমাদের প্রতি মায়া করে বাড়ি দিলে আমরা এখনো কোন শীত বস্ত্র না পাওয়ায় শীতে দিনরাত শুধু কাঁপছি। দয়া করে আমাদের কথা জানান, যেন আমার কম্বল, শুয়েটার পাই। শীত থেকে বাঁচতে পারি। একই অব¯’া নদী ভাঙ্গন কবলিত জনগোষ্ঠীর। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বার বার বাড়ি ¯’ানান্তার করা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অসহায় জীবন যাপন করছি। তার পর শীত যেন আমাদের উপর জেঁেক বসেছে। শীতে না পারি বাইরে যেতে, না পারছি ঘরে থাকতে। এ যেন উভয় সংকট। এ সময় আমরা এমপিসহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। একই অবস্থা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের শত শত দু:খী পরিবার গুলোর যারা দিন আনে দিন খায়। এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, অসহায় বান্ধব এ সরকারের আমলে কেউ শীতে কষ্ট পাবে না। ইতিমধ্যে ৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো অসহায় পরিবারের জন্য কম্বলের জন্য আবেদন করা হয়েছে।আশা করি শীঘ্রই বরাদ্দ হবে এবং বরাদ্দ পেলেই অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে।