দেশের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পুরোধা, বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সেনানী, তেভাগা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধুর বাকশাল সরকারের রাজশাহী জেলা গভর্নর, নির্যাতিত জননেতা এম আতাউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক স্মরণ সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ যৌথভাবে এ সভা আয়োজন করে। রাজশাহী প্রেসক্লাবের সহঃ সভাপতি আবু সালেহ মোহাম্মদ ফাত্তাহর সভাপতিত্বে এবং রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বিশিষ্ট কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা। চিকিৎসা নিতে ভারতে অব¯’ান করায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন জননেতা এম আতাউর রহমানের সন্তান ও রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেনÑ রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য গোলাম সারওয়ার, রাজশাহী সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ জুলফিকার। অন্যান্যের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, রাজশাহী প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন, দৈনিক সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার সুব্রত দাস, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমানসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা বলেন, গণমানুষের অধিকার আদায়ের সাহসী এক বীর পুরুষের নাম জননেতা আতাউর রহমান। তিনি একাধারে ছিলেন গরিবের আইনজীবী, সাংবাদিক, জনদরদী নেতা। বঙ্গবন্ধু তাকে চিনেছিলেন। যে কারণে আতাউর রহমান ন্যাপ করতেন, তবুও তাকে জেলা গভর্নর করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। এমন মহান ব্যক্তিত্ব উত্তরাঞ্চলকে সাজিয়েছেন। সারাজীবন কাজ করেছেন মানুষের অধিকার আদায়ে। কারাবরণ করেও পিছপা হননি তিনি। তারা বলেন, আতাউর রহমান নিজের কথা না ভেবে সর্বদা কাজ করেছেন জনগণের জন্য। তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। এমন ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করা আমাদের দায়িত্ব। এদিনের সভায় উপ¯ি’ত ছিলেন- জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সদস্য মো. সেলিম, মাজেদুর ইসলাম, জামিল হোসেন জনি, ইকবাল হাসান টাইগার, বোয়ালিয়া থানা কমিটির আহবায়ক সাগর নোমানী প্রমুখ।