নওগাঁর পোরশায় মাদ্রাসা এমপিও ভুক্ত হওয়ার পরে পুরাতন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক বাদ দিয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ উঠেছে সদ্য এমপিও ভুক্ত হওয়া কালাইবাড়ি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল বাসেত ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুস সোবহান এর বিরুদ্ধে। বাদপড়া ভুক্তভুগি শিক্ষক মোশারফ হোসেন, তোজাম্মেল হক, সাদিকুল ইসলাম সহ শিক্ষকগণ জানান, ১৯৯৯সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসারে বিগত ২০০৪ইং সালে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। সে থেকেই তারা প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকতা করে আসছিলেন। পরে সার্বিক দিক বিবেচনায় ২০২২ইং সালে সরকার মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্তির ঘোষনা দেন। এতে তাদের সকল শিক্ষক এমপিও ভুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু সুপার ও সভাপতি গোপনে যোগসাজসে সহসুপার মোশারফ হোসেনকে বাদ দিয়ে তার স্থলে তাইজুদ্দিনকে, সহকারি মৌলভী তোজাম্মেলকে বাদ দিয়ে ফারুক হোসেনকে, সহকারি শিক্ষিকা শামিমা খাতুনের স্থলে সুলতানা খাতুন, সহকারি শিক্ষক কৃষি লোকমান এর স্থলে আব্দুস সামাদ, জুনিয়র শিক্ষিকা আয়শা খাতুন এর স্থলে আহম্মেদ শরিফ ও এমএলএসএস সাদিকুল ইাসলামের স্থলে আব্দুল গফুরকে নিয়োগ দেখিয়েছেন। এতে তাদের আর্থিক সহ তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে তারা দাবি করেন। এবস্থায় তারা কতৃপক্ষের কাছে তাদের নিজ নিজ পদে বহালের দাবি সহ উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আব্দুস সোবহান জানান, অভিযোগকারি শিক্ষকগণ ২০১০সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত ছিলেন না। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছিলেন। ২০২২ইং সালে এমপিও ভুক্ত হওয়ার পরে তারা আবার এ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবেন বলে দাবি করছেন। অভিযোগকারি শিক্ষকগণের আবেদনের প্রেক্ষিতে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ এমপিও স্থগিত রেখেছেন বলে তিনি জানান। উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী মৃধা জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না বলে ফোন কেটে দেন। পুনরায় ফোন দিলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং অসংলগ্ন নানা কথাও বলেন।