চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে কৃষি জমিতে পানির ড্রেন খনন করতে গিয়ে মাটির নিচ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের দু’টি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্বার করেছেন স্থানীয়রা। সোমবার বিকেলে ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের পুরাতন বারইপাড়া গ্রামের শুকুর আলীর জমি থেকে এই কষ্টি পাথরের মূর্তি দুটি উদ্বার করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে কষ্টি পাথরের মূর্তি দুটি নিয়ে যান। কষ্টি পাথর উদ্বারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন স্থান থেকে মূর্তি দুটি দেখতে মানুষ ভীড় করেন। মূর্তিটির মধ্যে বড়টির ওজন প্রায় ৮২ কেজি ও ছোটটির ওজন ৬৭ কেজি ৫২০ গ্রাম। এর দাম প্রায় ২ কোটি টাকা বলে জানায় বিজিবি।
স্থানীয় বাসিন্দা, উদ্বারকারী, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমিতে চাষাবাদের জন্য পানি দেয়ার ড্রেন তৈরি করতে গিয়ে শুকুর আলীর জমিতে কাজ করা শ্রমিক জাহাঙ্গীরের কোদালে শক্ত জিনিস বাঁধে। পরে মাটি খনন করে একটি ও পরে আরও একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্বার করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানোর পর গ্রাম পুলিশ সদস্য ও পরে পুলিশ-বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে হঠাৎ আমার কোদালে শক্ত কিছু বাঁধে।
পরে আরও জায়গা খনন করলে একটি এবং তার পাশেই আরেকটি মূর্তি পাওয়া যায়। দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক চুটু বলেন, শ্রমিকরা উদ্বারের পর আমাকে জানালে সাথে সাথে গ্রাম পুলিশকে পাঠায়। এছাড়াও পুলিশ-বিজিবিকে জানানো হয়। পরে সকলের উপস্থিতিতে পুলিশ ও বিজিবির সহায়তায় তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ধারনা করা হচ্ছে কষ্টি পাথরের মূর্তিগুলো প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ বছরের পুরানো। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, এর মূল্য ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ভোলাহাট থানার অফিসার-ইনচার্জ সেলিম রেজা জানান, স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিক্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হেফাজতে রাখা হয়েছে। ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম উপস্থিত হয়ে উপজেলা কার্যালয়ে তা নিয়ে যান। এবিষয়ে তিনি বলেন, উদ্বারের পর মূর্তি দুটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি শাখায় পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখান থেকে মূর্তি দুটি পরে প্রত্মতত্ব বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।