বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে ওষুধ বিপনন প্রতিনিধিদের দুর্ব্যবহার, হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নিয়ে রোগীদের অসন্তোষ ও ডাক্তারদের ঠিকমতো হাজিরা না হওয়া এবং নার্সদের দুর্ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন মাধ্যমে গত কয়েকদিনে নিউজ প্রকাশিত হয়। এরপরই টনক নড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। দ্রুত ওষুধ বিপণন প্রতিনিধিদের ডেকে তাদের জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়। বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী সপ্তাহে ২ দিন তারা দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। তবে কোন অবস্থায় হাসপাতাল ক্যাম্পাসে কোনো রোগীর কাছ থেকে প্রেসক্রিপশনের ছবি নিতে পারবেন না। এছাড়া হাসপাতালে আবর্জনা দূর করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। কনসালটেন্ট ও ডাক্তারদের প্রতিদিন হাজিরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ড বয় এবং নার্সদের কে রোগীদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। গত ৩দিন সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এর সত্যতা মেলে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আব্দুল হামিদ জানান, গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত। আগে থেকে ডাক্তারের সংখ্যা বেশি থাকায় এবং চিকিৎসার মান উন্নত হওয়ায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রোগীদের প্রয়োজনে যে কোনো সময় ডাক্তাররা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে এলাকাবাসীর সহযোগিতারও প্রয়োজন। তিনি এ সময় আরও বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ জন রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। কনসালটেন্ট ও ডাক্তাররা নিয়মিত রোগী দেখছেন।