1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
অবশেষে অসহায় দম্পতির আশ্রয়ের ব্যবস্থায় শিবগঞ্জ ইউএনও - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন

অবশেষে অসহায় দম্পতির আশ্রয়ের ব্যবস্থায় শিবগঞ্জ ইউএনও

শিবগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৬ মে, ২০২৩
  • ৭৪ বার পঠিত

প্রতিষ্ঠিত সাত ছেলে-মেয়ে ॥ ঠাঁই হয়নি নিজ বাড়িতে

অবশেষে অসহায় দম্পতির আশ্রয়ের ব্যবস্থায় শিবগঞ্জ ইউএনও

বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সম্পত্তি ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে মা-বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্তানদের বিরুদ্ধে’ এমন সংবাদ প্রকাশের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার কানসাট-পুখুরিয়া এলাকায় আমিনুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে অসহায় দম্পতির খোঁজ খবর নিয়ে দায়িত্ব নেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত। এ সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফলমুল, চাল ডাল, তেলসহ শুকনা খাবার ও নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং দেখাভালের দায়িত্ব নেন।

এসময় তিনি বলেন, যদি তার সন্তানদের ভুল ভাঙ্গে এবং তাদেরকে নিয়ে গিয়ে সেবা দেন। এব্যাপারে দাহারুল ইসলামের বড় ছেলে রায়নুর ইসলাম বলেন, এটি আমাদের ছোট ভাই সাইদুর রহমানের দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে আমার পিতা-মাতা আবেগ তাড়িত হয়ে এটি করেছেন। অন্যদিকে, সেজো ছেলে সহকারী অধ্যাপক এমরান আলি বলেন, যেহেতু উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত ছাড়া আমার পিতামাতা সেখান থেকে আসবেন না বলে জানিয়েছেন। সেহেতু আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াতের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে নিজ দায়িত্বে আমি আমার পিতামাতাকে নিয়ে আসবো এবং যতদিন উনারা বাঁচবে ততদিন আমার সেবাযত্নের মাধ্যমে থাকবে। তিনি আরো বলেন, আমার পিতামাতা তাদের সমস্ত সম্পত্তি ও টাকা ছোট ছেলে সাইদুর রহমানকে দেয়ার পরও তার ও তার স্ত্রীর দুর্ব্যবহারের কারণে আবেগের বশবর্তী হয়ে এটি করেছেন। যা আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। বুধবার উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কামাটোলা বাবুপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাদের বের করে দেন সন্তানরা। নিরুপায় হয়ে কানসাট-পুখুরিয়া এলাকায় বাল্যকালের বন্ধু আমিনুল ইসলামের বাড়িতে আশ্রয় নেন দাহারুল ইসলাম (৯০) ও শেরিনা বেগম (৮৫)। মিডিয়ার সাথে সাক্ষাতকালে বৃদ্ধ দাহারুল ইসলাম বলেন, ছেলে-মেয়েরা আমাদের ভরণপোষণ ও দেখাশুনা না করে বসতবাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এখন অসহায় জীবন-যাপন করছি। কোন আয় করতে পারিনা। বর্তমানে বন্ধুর বাড়িতে বসবাস করছি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে অসহায় বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা বলেন, সাত ছেলে-মেয়ে সবাই প্রতিষ্ঠিত। বড় ছেলে রায়নুল হক ব্র্যাকে চাকরি করে। মেজো ছেলে বাগির আলম ভারতের বাসিন্দা। সেজো ছেলে এমরান আলী শাহাবাজপুর সোনামসজিদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। ছোট ছেলে সাইদুর রহমান ব্যবসায়ী। মেয়েদের মধ্যে মেজো মেয়ে স্কুল শিক্ষক। তারপরও আমাদের দুজনের ১৩ বিঘা জমি ও ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সন্তানরা। জমি ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর কেউ আশ্রয় না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তবুও আমাদের জন্য জুটেনি ভাত। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্র দুটিও তাদের কাছে আছে। তবে বড় ছেলে রায়নুল হক বলেন, তারাই আমার বাবা-মা। কিন্তু আপনার যা জানার আছে, আমার অন্য ভাইয়ের কাছে জেনে নেন। সেজো ছেলে শাহাবাজপুর সোনামসজিদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এমরান আলীর মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তার স্ত্রী জানান, এ বিষয়ে মোবাইলে কথা বলা সম্ভব নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!