1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
নাটোরের গুরুদাসপুরে চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

নাটোরের গুরুদাসপুরে চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

নাটোর প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩
  • ৪০ বার পঠিত

নাটোরের গুরুদাসপুরে চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

নাটোরের গুরুদাসপুরে হাজেরা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার অবহেলায় সিজারিয়ান অপারেশনে জন্ম নেওয়া এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় জন্মের কয়েক ঘন্টা পরই শিশুটি মারা যাওয়ার অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা। বিষয়টি ধামাচাপাদিতে ওই পরিবারকে ভয়ভিতি দেখিয়ে সোমবারই শিশুটিকে দাফনের ব্যবস্থা করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। রোববার মধ্য রাতে ওই ক্লিনিকে শম্পা বেগম (২৮) সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। শম্পা বেগম গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লার জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। এটি তার দ্বিতীয় সন্তান ছিল। প্রসূতি শম্পার সিজারিয়ান অপারেশন করেন তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আমিনুল ইসলাম সোহেল। এর আগে একই ক্লিনিকে হার্নিয়া অপারেশনে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় দোষিসাবস্ত হয়ে বর্তমানে এই চিকিৎসক সাময়িক ভাবে চাকুরি চ্যুতিতে আছেন। প্রসূতির মামি আফরোজা বেগম ও দেবর আবু সাঈদ অভিযোগ করে বলেন, সোমবার ভোরে খবর আসে শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন। খবর পেয়ে তারা ছুটে যান ক্লিনিকে। সেখান কার সেবিকারা শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নিতে বলেন। এসময় শিশুটি ক্রমশ কালচেবর্ণের হয়ে যাচ্ছিল। একারণে চিকিৎসকের খোঁজ করা হয়। কিন্তু ক্লিনিকে জরুরী ভিত্তিতে কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। তারা আরো বলেন, একজন সেবিকা অক্সিজেন খুলে দেওয়ার সাথে সাথে কয়েক মিনিটের মধ্যে শিশুটির মৃত্যু হয়। সময় মতো চিকিৎসা পেলে শিশুটির হয়তো এমন করুণ মৃত্যু হতো না। তারা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় শিশু মৃত্যুর বিষয়ে শাস্তি দাবি করেন। গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, গুরুদাসপুরের হাজেরা ক্লিনিকে শিশু মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন। ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসার অভাবে শিশুটি মারা গেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে দ্রুত অভিযান দেওয়া হবে। ক্লিনিকের চিকিৎসক না থাকার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম সোহেল জানান, সুস্থ্য শিশুর জন্ম হয়েছিল। অভিভাবকদের অসচেতনার কারণে শিশুটি মারা যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2022 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!