1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
খিলক্ষেতে নববধূ হত্যায় দেবর-ননদসহ ৫ জনের ফাঁসির আদেশ - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন

খিলক্ষেতে নববধূ হত্যায় দেবর-ননদসহ ৫ জনের ফাঁসির আদেশ

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩
  • ১০১ বার পঠিত

খিলক্ষেতে নববধূ হত্যায় দেবর-ননদসহ ৫ জনের ফাঁসির আদেশ

রাজধানীর খিলক্ষেতে নববধূ মনিরা পারভীনকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দেবর-ননদসহ ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মনিরার স্বামী নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাফরোজা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে, মনিরার দেবর মাসুদ, ননদ হাসিনা, হাসিনার স্বামী মিলন, মিলনের ভাই দেলোয়ার হোসেন ও নাসির হোসেনের চাচা দিন ইসলাম। দণ্ডিতরা সবাই জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আসামীরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ২০১৩ সালের ১৮ জুন মনিরা ওষুধ কেনার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসে না। পরিবারের লোকজন তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিলেন না। পরদিন লোকমুখে জানতে পারেন নাসির হোসেন কাজী অফিসে নিয়ে মনিরাকে বিয়ে করেছেন। একথা শোনার পর মনিরার বাবা মোস্তফা ওইদিন নাসিরের বাবা হাছেন আলীর কাছে যান। তিনি মেয়েকে উদ্ধার করে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেন। তখন হাছেন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা না দিলে বাবা, মেয়েকে খুনের হুমকি দেন তিনি। পরদিন মনিরাকে নিয়ে বাড়িতে আসেন নাসির। বাড়িতে আসার পর নাসিরের বাবা, মাসহ পরিবারের অন্যরা মিলে মনিরাকে মারপিট করে পাশের একটি বালুর মাঠে ফেলে রাখেন। স্থানীয় লোকজন মনিরাকে উদ্ধার করে আশিয়ান সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুন সকালে মারা যান মনিরা। এ ঘটনায় ২২ জুন মনিরার বাবা মোস্তফা খিলক্ষেত থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় নাসিরের বাবা, মা, চাচাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। তবে মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কেএম আশরাফ উদ্দিন। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!